গা হিম করা শীতে কাঁপছে যশোর। গ্রামীণ জনজীবনে জবুথবু অবস্থা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। শীত উপেক্ষা করে কাজ বেরিয়ে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার যশোরে বাতাসের আর্দ্রতা রয়েছে ৯৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতের মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় অভিভাবকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার সকালে যশোর জিলা স্কুল, কালেক্টরেট স্কুল, যশোর ইনস্টিটিউট স্কুলসহ বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানকার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রয়েছে। উপজেলা পর্যায়েও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানেও এখন পর্যন্ত কোনো স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। সকালে তীব্র শীত উপেক্ষা করে শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা।
সোমবার সকালে রবিউল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, হাড়কাঁপানো শীতেও স্কুল খোলা রয়েছে। সকালে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে এসেছিলাম। এখন নিতে এলাম। এত ঠান্ডায় খুবই কষ্ট হচ্ছে। খোলা থাকলে, ক্লাস মিস দিলে সমস্যা। তাই বাধ্য হয়েই আনা।’
অভিভাবক বিপ্লব রায় বলেন, ঠান্ডার মধ্যে বাচ্চা স্কুলে চলে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও বিপাকে পড়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ভোগান্তি কম হত।
মোতাহার হোসেন নামে এক স্কুল শিক্ষক বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কম হলেও পাঠদান বন্ধের কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। এজন্য পাঠদান চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন জানান, খুব সকালে তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নেমেছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের স্কুলের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ সময় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি রয়েছে। তারপরও আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে।