ইউক্রেনে তীব্র সামরিক সদস্য সংকটে ভুগছে রাশিয়া। এমনই ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার সিএনএনের লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ইউক্রেনে কিভাবে নিজেদের সামরিক বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায় তার উপায় খুঁজছে রাশিয়া।
মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে প্রচণ্ড জনবল সংকটে ভুগছে। আমরা বিশ্বাস করি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের এই সংকট সমাধানে চুক্তিতে পরিষেবা সদস্য নিয়োগের উপায় খুঁজছে। এর মধ্যে রয়েছে, আহত সেনাদের পুনরায় যুদ্ধে নামতে বাধ্য করা, বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি থেকে কর্মীদের অধিগ্রহণ।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্ভবত ক্ষমা ও আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের নিয়োগ শুরু করতে পারে। এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন আছে।
গত সপ্তাহে নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে ১৯ লাখ থেকে বেড়ে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য সংখ্যা হবে ২০ লাখ ৪০ হাজার। এ বিষয়ে একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষরও করেন তিনি। নতুন করে ১ লাখ ৩৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হবে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহ শুরু হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর নীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কলিন কাহল আগস্টের শুরুতে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ধারণা করছে যুদ্ধের শুরুর মাসগুলোতে ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে রুশ বাহিনী। আরও বলেন, এই লড়াইয়ে অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। আমি মনে করি, ছয় মাসের কম সময়ে রাশিয়ার ৭০ থেকে ৮০ হাজার সেনা হতাহত হয়েছে। এই সংখ্যাটি কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ১৯০ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও বেড়েছে।