বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন হলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, সরকারি তথ্যের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কোনো সত্যতা নেই।
নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন হওয়ার কথা। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই অভ্যন্তরীণ কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারসহ সমস্ত প্রতিনিধিরা ছিলেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আগের সমস্ত অভ্যন্তরীণ কমিটির বৈঠকেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার উপস্থিত ছিল। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে একটি বিবৃতি পাওয়া যায়, যেখানে চুক্তি পুনর্নবীকরণের সময় শিল্প বিকাশ এবং পানীয় জলের দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে জানানো হয়েছিল।
তবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে তাকে (মমতা) অন্ধকারে রাখা হয়েছে। কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অথচ নদী ও নদীর পানি রাজ্য সরকারের এখতিয়ারে পড়ে। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন বলেও জানান।
আজ সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালকে। জবাবে তিনি বলেন, সরকারি তথ্য ও মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের মধ্যে মিল নেই। গঙ্গা চুক্তি নবায়নের বিষয়টির আন্তর্জাতিক পর্যালোচনা হবে। সে জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি হয়েছে। সেই কমিটির প্রতিটি বৈঠকে চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবাই যোগ দিয়েছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিও বৈঠকে ছিলেন।
জয়সোয়াল জানান, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কী পরিমাণ শিল্প ও পানীয় জলের প্রয়োজন সে কথা জানানো হয়। অভ্যন্তরীণ কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের প্রতিবেদন পেশ করেছে। আপাতত সেই প্রতিবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।