ড. আতিউর রহমান
আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি যখন অবরুদ্ধ বাংলাদেশে ফেরেন তখন স্বৈরশাসকগোষ্ঠী তার ‘পথে পথে পাথর’বিছিয়ে রেখেছিল। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেদিন জনতার ঢল নেমেছিল। ঠিক যেমনটি নেমেছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার দিনও জনমনে একই উন্মাদনা লক্ষ করা গিয়েছিল। সেদিনও যেমন বঙ্গবন্ধুর পথ ছিল নানামুখী চ্যালেঞ্জে ভরা, ১৯৮১-এর এই দিনেও বঙ্গবন্ধুকন্যার পথও ছিল একইরকম প্রতিকূলতায় ঠাসা। কবি নির্মলেন্দু গুণ তাই যথার্থই লিখেছিলেন-
‘শেখ হাসিনা, আপনার বেদনা আমি জানি।’
আপনার প্রত্যাবর্তন আজ শেষ হয়নি।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়িতে, পা রেখেছেন মাত্র।’
তাই তো সেদিন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে লাখো মানুষের সামনে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’ সেই যে পাথর ডিঙিয়ে পথচলা শুরু তার যেন আর শেষ নেই। সে কী সংগ্রাম! বিরোধী দলের নেত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রী কোনো অবস্থানেই চ্যালেঞ্জের শেষ নেই। সংকটে বিহ্বল না হয়ে ধৈর্য ধরে বুদ্ধি করে তা মোকাবিলা করার শিক্ষা তিনি জাতির পিতার কাছ থেকেই পেয়েছেন। সর্বশেষ করোনা সংকট মোকাবিলায় শতকরা আশি ভাগ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ও উদ্যোক্তাদের মনে যে আশার আলো জ্বেলেছেন তা সারাবিশ্বই অবাক হয়ে লক্ষ করছে। বলতে দ্বিধা নেই তিনিই আমাদের ভরসার প্রতীক।
আমাদের সমাজে আছে অনেক অসংগতি। আছে দুঃখ ও সীমাহীন বৈষম্য। আছে ব্যাপক দুর্নীতি। আছে নিত্যপণ্যের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি। তাই বলে হতাশা ছড়ানোই এসবের প্রতিকার হতে পারে না। বরং জনবান্ধব সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং কর্মের মাঝেই খুঁজে পেতে হবে এসব সংকটের সমাধানের পথ। আর মানবিক নেতৃত্বই দিতে পারে সেই পথের সন্ধান। ভুললে চলবে না যে, তিনিই সফল নেতা, যার কাজকর্ম অন্যদের আরও স্বপ্ন দেখায় এবং আরও বড় হওয়ার উৎসাহ দেয়। তিনি অতীত থেকে শক্তি সঞ্চয় করেন বর্তমান পেরিয়ে ভবিষ্যতের পানে ছোটার জন্য। তিনি পুরো সমাজ পরিবর্তনের পক্ষে আবেগের সঞ্চারণ ঘটান। এমন উজ্জ্বল নেতার সন্ধান পেয়েছিল বলেই বাঙালি তার হাজার বছরের স্বপ্ন সফল করে নিজেদের জন্য স্বাধীন-সার্বভৌম এক ভূখ- অর্জন করতে পেরেছিল।
জাতির পিতার নেতৃত্বে অর্জিত সেই বাংলাদেশ নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজ বিশ্বজুড়ে এক সফল গতিময় দেশের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আর সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করার যে ঐতিহ্য স্থাপন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু, তাকে সজোরে আঁকড়ে ধরেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা। বঙ্গবন্ধু যেমন করে করে শিখেছেন, দুঃখের বন্ধনকে শক্তিতে রূপান্তর করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাও ঠিক তেমনি অতীত-বর্তমানের মধ্যে নিরন্তর ‘চিত্তের সম্বন্ধ’ (রবীন্দ্রনাথ) বজায় রেখেই এগিয়ে চলেছেন স্বদেশের দ্রুত রূপান্তরের পথরেখা ধরে। রবীন্দ্রনাথ তার ‘ভারতবর্ষীয় সমাজ’ প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘সমাজের নিচ হইতে উপর পর্যন্ত সকলকে একটি বৃহৎ নিঃস্বার্থ কল্যাণ বন্ধনে বাঁধা, ইহাই আমাদের সকল চেষ্টার অপেক্ষা বড় চেষ্টার বিষয়।’
শুধু বর্তমান কেন, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক আরও অনেক দূরে দেখতে পান। আর তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা এমন সংকটকালে দাঁড়িয়েও ‘আরও সবুজ, আরও পরিচ্ছন্ন এবং আরও নিরাপদ’ বিশ্বের স্বপ্ন দেখেন। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং মহামারীজনিত অর্থনৈতিক মন্দা ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে বিশ্বখ্যাত সাময়িকী দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে লিখেছেন, ‘কর্মসংস্থানকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে শুধু বর্তমানের কথা না ভেবে ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের কথাও বিবেচনা করতে হবে। তাই আগামী কয়েক দশকের কথা ভেবে আমাদের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে হবে।’ তিনি সব সময়ই এ রকম একই সঙ্গে দূরদর্শী ও জনবান্ধব চিন্তা করেন। দূরদর্শী ও জনবান্ধব নেতৃত্বের এমন পরম্পরা খুব বেশি দেখা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তেরো বছর আগে ক্ষমতায় এসেছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর স্বপ্ন দেখিয়ে। সেভাবে নীতি গ্রহণ এবং তার বাস্তবায়নও তিনি করেছেন। তার সুফলও আজ পুরো জাতি পাচ্ছে। সরকারি সেবার ব্যাপকভিত্তিক ডিজিটালাইজেশনের ফলে অপচয় কমিয়ে মানসম্পন্ন সেবা পৌঁছে যাচ্ছে জনগণের দ্বারপ্রান্তে। ব্যাপক পরিবর্তনের এই ছোঁয়া লেগেছে বেসরকারি খাতেও। শিক্ষা আর স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক খাতগুলোতেও এর ইতিবাচক প্রভাবই পড়েছে। তবে ডিজিটালাইজেশনের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে। ১৯৭৫-এ মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৮ ডলার। এখন তা দুই হাজার আটশ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই উল্লম্ফনের ৭৩ শতাংশই কিন্তু হয়েছে শেষ বারো বছরে। গত ১২ বছরে যেখানে প্রবৃদ্ধির হার গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ, সেখানে তার আগের দুই দশকের গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশের মতো। রপ্তানি বৃদ্ধিতেও একই ধারা দেখি। করোনাকাল কাটিয়ে ফের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশের বেশি হারে বাড়তে শুরু করেছে। তবে বৈষম্যও বাড়ন্ত। সেজন্যই কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষার ওপর জোর দিতে কার্পণ্য করছেন না বঙ্গবন্ধুকন্যা। এসবের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। তবে মনে রাখা দরকার, এটি এখন বিশ্ব সংকটে রূপ নিয়েছে। তাই নিজেদের খাদ্যনিরাপত্তার কথা স্বদেশি কায়দায় ভাবতে হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষির ওপর পর্যাপ্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদনে যথেষ্ট পারদর্শিতা দেখাচ্ছে।
জিডিপিতে অবদান কমলেও এখনো মোট শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশ কৃষি খাতেই নিযুক্ত আছে। সরকারও তাই কৃষির দিকে নীতি-মনোযোগ অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি বাজেটে কৃষি খাতে বাড়তি বরাদ্দ দিয়েছেন। বস্তুত তিনি কৃষিতে ভর্তুকি নয়, প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন ফি বছর। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য নীতিনির্ধারকরা বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়নে। কৃষি গবেষণায় বেশি বেশি নীতি সমর্থন থাকায় নতুন নতুন জাতের ধান, গম, ভুট্টা ও সবজির উৎপাদন বেড়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য প্রতিকূল পরিবেশসহিষ্ণু ১৩টি জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে। এর বাইরে পাটের কয়েকটি নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি পাটের জীবনরহস্যও উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ পাট গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের গবেষণায় নিরন্তর নীতি ও অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
উন্নয়নের প্রধানতম সূচক হিসেবে ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্তি। বাংলাদেশে এখন প্রায় সব পরিবারই বিদ্যুৎ পাচ্ছে। যেখানে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছাতে দেরি হয়েছে, সেখানকার নাগরিকদের কাছে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর ফলে বিনিয়োগ পরিবেশেরও উন্নতি হয়েছে। এর পাশাপাশি বিডাসহ রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিমালা সহজীকরণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। এর পেছনেও প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক সমর্থন বেশ স্পষ্ট। এ ছাড়া পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং কর্ণফুলী টানেলসহ বিপুলসংখ্যক এমন মেগাপ্রকল্প তিনি বাস্তবায়ন করেছেন যেগুলো কর্মসংস্থানসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক শক্তির বিকাশে ‘গেমচেঞ্জার’ হতে পারে।
একইসঙ্গে দ্রুত উৎপাদনশীল হবে না এমন বৃহৎ প্রকল্প না গ্রহণ করার বিষয়ে তার নির্দেশনা বিদ্যমান বাস্তবতা সম্পর্কে তার সংবেদনশীলতাই প্রমাণ করে। মানবসম্পদ উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবনঘন শিক্ষাদর্শনকে মূল জায়গায় রেখে বিগত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। গুণ-মানের অপূর্ণতা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার শিক্ষার বিস্তারে যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। গত এক দশকে এ ক্ষেত্রে আমাদের অর্জনের খতিয়ান নিঃসন্দেহে আশাজাগানিয়া। প্রাথমিকে নেট এনরোলমেন্ট রেট ৯৮ শতাংশ, মাধ্যমিকে ৭০ শতাংশ। উভয় ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সাম্য অর্জিত। উচ্চশিক্ষায় ভর্তির হার চার লাখ থেকে বেড়ে ১০ লাখ। কারিগরিতে ভর্তির হার ৩ থেকে বেড়ে ১৬ শতাংশ হয়েছে ছয় বছরে। প্রতিবন্ধীসহ সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে নানামুখী বিশেষ ব্যবস্থা ও প্রণোদনা কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী তাই শুরু থেকেই এ বিষয়ে সচেতন থেকেছেন। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ তার প্রমাণ। এ পরিকল্পনায় শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করে উন্নয়ন কৌশলের দিকনির্দেশনা রয়েছে। দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এমন সচেতন প্রতিশ্রুতি বাকি দেশগুলোর জন্যও একটি দৃষ্টান্ত। তাই ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেতৃত্বের মানসিকতায়ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি জলবায়ু সহিঞ্চু ও অবকাঠামো উন্নয়নে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নয়া ঋণ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরাও বাংলাদেশের সবুজ উন্নয়ন কর্মসূচির সমর্থন দিতে সমান আগ্রহ প্রকাশ করছে। এসবই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সুদূরপ্রসারি উন্নয়ননীতির প্রতি সমর্থনের প্রকাশ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেছিলেন,‘দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ তার কন্যা সে কথা প্রমাণ করে চলেছেন অবিরত। আমাদের সীমিত সম্পদ আর বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তিনি তৈরি করেছেন। কবি সুফিয়া কামাল যথার্থই লিখেছিলেন ‘… শেখ হাসিনা মৃত্যুর ভয়ে পশ্চাৎপদ হননি। সাহসের সঙ্গে সংগ্রামে এগিয়ে অগ্রবর্তিনী হয়ে আমাদের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।’ (আলী হাবিব সম্পাদিত তিমির হননের নেত্রী, ২০১৮, সুফিয়া কামালের প্রার্থনা : শেখ হাসিনার জন্য, পৃষ্ঠা ৯)। বাংলাদেশ আসলেই এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে। তবে এ কথাও মানতে হবে তার চলার পথ এখনো সংকটে ভরা। চলমান বিশ্ব খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের এই দুঃসময়ে পুরো জাতিরই তার পাশে থাকাটা খুবই জরুরি। দেশ সবার আগে। দল-মত নির্বিশেষে দেশ বাঁচানোর স্বার্থেই সামাজিক ও রাজনৈতিক শান্তি অপরিহার্য। এই পর্যবেক্ষণ আজকের দিনেও সমান প্রযোজ্য। চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক এই সংকটকালে তার মেধাবী নেতৃত্বের ওপর নিশ্চয় আমরা ভরসা রাখতে পারি। নিঃসন্দেহে এখন তার চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। পাথর ডিঙিয়েই তাকে চলতে হচ্ছে। সব বাধা পেরিয়ে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাক আজকের দিনে সেই প্রত্যাশাই করছি।
ড. আতিউর রহমান-বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর