The news is by your side.

তামিমের ঝড়ো ব্যাটিং, সাকিবদের হারালো বরিশাল

0 156

 

জাতীয় দলের জার্সিতে খেলছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। কাঁধে কাঁধ মিলে দুইজনই দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু এক সময়ের দুই বন্ধু এখন শত্রুতে পরিণত হয়েছেন।

মাঠে এবং বাইরে তাদের সম্পর্কের খবর এখন ওপেন সিক্রেট। বিশ্বকাপের ঠিক আগে তামিমকে নিয়ে সাকিবের করা মন্তব্য তিক্ততার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। ওই ঘটনার পর শনিবার পঞ্চপাণ্ডবের দুজন মুখোমুখি হয়েছেন। সাকিবের দল রংপুর রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে তামিমের নেতৃত্বাধীন বরিশাল। সেই জয়ে অবদান ছিল বরিশালের হয়ে খেলা পঞ্চপাণ্ডবের তিনপাণ্ডব তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খালেদ আহমেদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে খেই হারায় রংপুর রাইডার্স। ৯ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারে ১৩৪ রান। জবাবে খেলতে নেমে তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই জয়ের পথটা পরিষ্কার করে ফেলে বরিশাল। পরে মুশফিক, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর ফিনিশিংয়ে ৫ বল আগেই জয় নিশ্চিত হয়েছে তাদের।

শুরুতে দলীয় ৩২ রানে ইব্রাহিম জাদরানকে হারায় বরিশাল। তার পর মেহেদী মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে তামিম ৩৪ রানের জুটি গড়েছেন। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ২৪ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রানে স্টাম্পড হন তামিম। যিনি মাঠে খেলতে নামেন প্রায় চার মাস পর!

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরের সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। পিঠের ইনজুরি থেকে মুক্তি পেয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দলের জয়ে রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তবে সৌম্য সরকার বরাবরের মতো হতাশ করেছেন। তামিমের পর ১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার পরেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি তাদের। মুশফিক ২৬, মিরাজের ২০ রানের পর মাহমুদউল্লাহর ১৯* রানের ক্যামিও ৫ উইকেটের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখে। নতুন বিয়ের খবর দেওয়া শোয়েব মালিকও ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

সাকিব আল হাসান ও হাসান মুরাদ সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী।

টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া রংপুর রাইডার্স ৩১ রানে টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায়। শামীম পাটোয়ারীর ৩৪ এবং শেখ মেহেদী হাসানের ২৯ রানে রংপুর কোন রকমে ১৩৪ রান সংগ্রহ করেছে। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া সাকিবও এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ বলে ২ রান করে আউট হয়েছেন।

খালেদ আহমেদ ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দেখা পেয়েছেন এই ম্যাচে। ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায় তার শিকার ছিল চার উইকেট। এছাড়া মেহেদী মিরাজ দুটি উইকেট নিয়েছেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.