শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া লঙ্কানদের হয়ে সেঞ্চুরি করেন জানিথ লিয়ানাগে। তবু খুব বেশি এগোতে পারেনি তারা। আটকে যায় ২৩৫ রানে। জবাবে সৌম্য সরকারের কনকাশন বদলি ওপেনার তানজিদ তামিম ৮৪ রানের ইনিংস খেললেও ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেনের ঝড়ে ওই চাপ সামলে ৪ উইকেটে জিতেছে টাইগাররা। ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে সিরিজ।
সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। লঙ্কান অলরাউন্ডার জেনিথ লিয়ানগের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ১০২ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন লিয়ানগে।
২৩৬ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন সৌম্যের কনকাশন বদলি নামা তানজিদ তামিম। অন্যদিকে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। তবে দলীয় ৫০ রানে ২২ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বিজয়।
বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। টাইগার অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তানজিদ তামিম। তবে দলীয় ৫৬ রানে ৫ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন শান্ত। এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন তামিম। ৫১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই টাইগার ওপেনার।
হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। হৃদয় ৩৬ বলে ২২ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ বলে মাত্র ১ করে সাজঘরে ফিরে যান। তাদের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম।
তবে দলীয় ১৩০ রানে ৮১ বলে ৮৪ রান করে ফিরে যান তামিম। তার বিদায়ে আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। ৪৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।
তবে দলীয় ১৭৮ রানে ৪০ বলে ২৫ রান করে আউট হন মিরাজ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন রিশাদ হোসেন। তার ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৫৮ বলে হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।