তাইওয়ানের কাছে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্রসহ ১১০ কোটি ডলারের সম্ভাব্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে করে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) শুক্রবার বলেছে, এই অস্ত্র প্যাকেজের মধ্যে আরও রয়েছে জাহাজবিধ্বংসী ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে তাইওয়ান সফরে যান মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর জেরে পেলোসির সফরের পর স্বশাসিত দ্বীপটির চারপাশে চীনের আগ্রাসী সামরিক মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পেন্টাগন তাইপের জন্য অস্ত্রের নতুন এ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
ডিএসসিএ জানিয়েছে, তাইওয়ানে বিক্রি হতে যাওয়া অস্ত্রের মধ্যে সাইড উইন্ডার ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ থেকে আকাশে ও ভূমিতে আক্রমণে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর খরচ ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৫৬ লাখ ডলারের মতো।
এছাড়া অস্ত্র প্যাকেজের মধ্যে থাকা হারপুন জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার, তাইওয়ানের নজরদারি রাডার প্রোগ্রামের সহায়তায় আনুমানিক ৬৬ কোটি ৫৪ ডলার খরচ পড়বে।
ওয়াশিংটনের চীন দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গিউ সতর্ক করেছেন, সম্ভাব্য এই অস্ত্র বিক্রি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে স্থিতিশীলতার মারাত্মক ক্ষতি করবে ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলছে, তাইওয়ানের জন্য অস্ত্রের প্যাকেজ অনেকদিন ধরেই বিবেচনায় ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই প্যাকেজ ঠিক হয়েছে।
তবে এই অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সায় মিললেও কংগ্রেসে পর্যালোচিত হবে।
আশার খবর, কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের সদস্যরাই বলেছেন, এই অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে কোনো বাধা আসবে বলে মনে করছেন না তারা।