আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বেইজিং সোমবার জানিয়েছে তাইওয়ানে চীন তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে প্রস্তুত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীন আক্রমণ করলে তাইওয়ানের পাশে থাকার ‘প্রতিশ্রুতি’ দেওয়ার পর তার কথা আমলে না নিয়ে উল্টো ‘তিরস্কার’ করে এই মন্তব্য করল চীন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কখনই স্ব-শাসিত তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণ করেনি। তবে চীন বরাবরই দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করেও একদিন তাইওয়ান দখল করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বেইজিং।
সোমবার জাপান সফররত বাইডেনকে চীন আক্রমণ করলে তাইওয়ানের পাশে থাকবেন কী না জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ।বাইডেন বলেন, এমনটাই আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমরা এক চীন নীতির সঙ্গে একমত হয়েছি, আমরা এতে স্বাক্ষর করেছি কিন্তু তাইওয়ানকে জোর করে নেওয়া যেতে পারে এমন ধারণাটি ঠিক নয়।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এটা সমগ্র অঞ্চলকে স্থানচ্যুত করবে এবং ইউক্রেনে যা ঘটেছে ঠিক তার মতো আরেকটি পদক্ষেপ হবে।
বাইডেনের এসব মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সাংবাদিকদের বলেন, তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি বলেন, তাইওয়ান ইস্যুটি চীনের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়। চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার মূল স্বার্থের ইস্যুতে চীনের কোনো আপস বা ছাড়ের সুযোগ নেই।