পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, ‘ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নিরাপত্তায় দেড় শতাধিক নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন।’ মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে তিনি এ তথ্য জানান। শাহরিয়ার আলম বলেন, সৌদি আরবের ক্লাব, দূতাবাস, বাসভবনসহ কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় ৪৮ জন পুলিশ মোতায়েন আছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনের নিরাপত্তায় ২৯ জন দায়িত্ব পালন করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ১৫৮ জন নিয়োজিত আছেন। তাদের এসব নিরাপত্তা অব্যাহত থাকবে। শুধু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বাড়তি সুবিধা প্রত্যাহার হবে। এর আগে, মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে কূটনীতিকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’
পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে যে, ‘এটি মূলত ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের কাজটাই করতো। তাদের যে আসল নিরাপত্তার ব্যবস্থা সেটা অপরিবর্তিত আছে।’ সচিব বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ ভালো। এজন্য বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন দেখছে না বাংলাদেশ সরকার।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতরা আছেন, তাদের যে বেসিক নিরাপত্তা আছে সেটা আমরা কখনোই কম্প্রোমাইজ করব না। এটুকু আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’ পররাষ্ট্র সচিব জানান, ‘কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য আনসারের স্পেশাল ব্যাটালিয়ন অনেকদিন ধরেই তৈরি করা হচ্ছিল।’