আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনার পর ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে। কিন্তু আবারও ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে বলে দাবি করে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
এই আন্দোলন এপ্রিলের শুরুতেও অব্যাহত থাকবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ক্রাইসিস টোয়েন্টিফোর। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩১ মার্চ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলা ১১টা থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমাবেশ ঘটতে পারে। সম্ভাব্য সমাবেশস্থলের মধ্যে রয়েছে বুয়েট ক্যাম্পাস, সরকারি ভবন, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, পাবলিক প্লেস, প্রেসক্লাব এবং রাস্তাঘাট।
প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, যেকোনো প্রতিবাদ সমাবেশের ওপর নজরদারি রাখবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন। সমাবেশ সহিংস হলে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ এবং টিয়ার গ্যাস ছোড়া হতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে গণগ্রেফতারের শঙ্কা জানিয়েছে ক্রাইসিস টোয়েন্টিফোর। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি শিবিরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে বলেও ধারণা করছেন তারা। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট স্থানীয় পরিবহন এবং ব্যবসায়ীদের বেচাকেনায় ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
গত বুধবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দল বেঁধে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করায় গত শুক্রবার থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধেসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। ৫ দফা দাবি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের জেরে পরীক্ষাও বর্জন করে তারা।
২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর বুয়েটের ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে অংশ না নিতে একাধিকবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বুয়েট কর্তৃপক্ষ।