The news is by your side.

ঢাকায় ইউএনএইচসিআর মিশন, উগ্র ইসলামপন্থীদের  আপত্তি, উদারপন্থীদের সমর্থন

0 308

মো. হাবিবুর আলম

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশসহ উগ্র ইসলামপন্থী  বেশ কয়েকটি সংগঠনের  আপত্তি এবং বিরোধিতার  মধ্যেই  দেশে চালু হয়েছে- জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ের (ইউএনএইচসিআর) মিশন। নতুন এ মিশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে।

কারা বিরোধীতা করছেকেন করছে?

শুরু থেকেই  বাংলাদেশে জাতিসংঘের  মানবাধিকার কমিশনের অফিস চালু নিয়ে আপত্তি জানায় বাংলাদেশের ইসলামপন্থি বেশ কয়েকটি  রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বলছে, এর আগেও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা বাংলাদেশের মুসলিম পারিবারিক আইন, ইসলামি শরিয়া ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে। নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও একই চিত্র দেখা গেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ইমতিয়াজ আলম বলেন, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তানসহ দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতনে কী ভূমিকা পালন করেছে? এখন এ দেশে মানবাধিকার দেখাতে চায়?

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, যে কোনো মূল্যে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন থেকে সরকারকে সরে আসতে বাধ্য করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি’র নেতা সারজিস আলম।

তিনি লেখেন, যেই কমিশন মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস হতে দিয়েছে, মুসলমানদের টার্গেট করে জঙ্গি ট্যাগ দিয়েছে, পশ্চিমাদের সাম্রাজ্যবাদী উদ্দেশ্যকে সার্ভ করেছে, যে কমিশন পুরো পৃথিবী কিংবা মানবতার না হয়ে কয়েকটি দেশ, গুটিকয়েক ব্যক্তি কিংবা কিছু গোষ্ঠীর দালাল হিসেবে কাজ করেছে, সেই তথাকথিত মানবাধিকার কমিশন দিয়ে আমরা কী করবো?

দেশের মানবাধিকার কর্মীরা কি বলছেন?

১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন বলেন,   সেদিন সেখানে পাঁচ জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। গতবছর যা যা ঘটলো, এগুলোর তদন্ত করতে গেলে মানবাধিকারের অফিস এখানে থাকলে সুবিধা হবে।

ইসলামপন্থি দল ও সংগঠনগুলো ঢাকায় ওএইচসিআর-এর অফিস চালু না করার পক্ষে যেসব যুক্তি দেখাচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এই আইনজীবী।

তিনি বলছেন, শিশুরা যৌন হয়রানিসহ নানাকিছুর শিকার হচ্ছে। শিশু অধিকার সনদ আরও কার্যকরভাবে বাংলাদেশে প্রয়োগ করা যায়। সেখানে যদি জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে, সেখানে সমস্যাটা কী? এটা প্রত্যাখ্যান করার তো কারণ নেই। এটিকে স্বাগত জানানো উচিত।

অন্তর্বর্তী সরকারের গুম কমিশনের সদস্য এবং মানবাধিকার কর্মী নূর খানও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক মনে করেন।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের এই দপ্তর চালু হলে এখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তা সহায়ক হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিশনটির লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইনি সহায়তা ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণের বাংলাদেশকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তার মানবাধিকার সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা পূরণে সহায়তা করা।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটি স্থানীয়ভাবে লিঙ্গভিত্তিক অধিকার, আবাসন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বৈষম্য নিরসন, স্বাস্থ্যসেবা, এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.