The news is by your side.

ঢাকায় রেড জোন এর নতুন তালিকা, গাইডলাইন দুই সপ্তাহ পর!

0 600

 

 

বিশেষ প্রতিবেদক

কোভিড নাইনটিন নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সব দেশ যখন শুরু থেকেই লকডাউন নীতি গ্রহণ করে, তখন বাংলাদেশ ঘোষণা করে সাধারণ ছুটি।

হিতে বিপরীত। সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা না থাকায় মানুষ এলোমেলো ছোটাছুটি করে। ঢাকা থেকে বাড়ি যাই বাড়ি থেকে আবার ঢাকায় ফিরে আসে। জনসমাগমের সুযোগে করোনাভাইরাস ঢাকা শহর ছড়িয়ে পড়ে দেশের সর্বত্র। অধিক সংক্রমিত হয় মহানগরীর ঢাকার মানুষ।

দুই সপ্তাহ আগেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে লোকজনের ঘোষণা দেয়া হয়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ নতুন করে আবার ঢাকায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন এর রেট জন চিহ্নিত করবার কথা বলছেন। তবে লকডাউন এর গাইডলাইন বা দিকনির্দেশনা তৈরি করতে সময় লাগবে দুই সপ্তাহেরও বেশি। রেড জোন এর ম্যাপ বা তালিকা পেলে তা বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

জনসাস্থ বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ ধীরে চলো নীতি কোন ভাইরাস সংক্রমণ আরো বাড়াবে। ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জুলাই মাসে কোন ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন বিদ্যমান বাস্তবতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গাইডলাইন তৈরি করতেই সময় চেয়েছেন আরো দুই সপ্তাহ। দুই সপ্তাহে চার সপ্তাহ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এরপরে হচ্ছে বাস্তবায়নের পালা। ততদিনে করোনাভাইরাস তার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ঢাকাসহ সারাদেশ সংক্রমিত করবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দের এমন ধারণা খুবই প্রাসঙ্গিক।

ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গঠিত কারিগরি কমিটির একজন বিশেষজ্ঞের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতা এবং উদাসীনতায় বাংলাদেশ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা একবার শুরু হলে তার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.