তানভীর সুইটি
মোটর বাইকের জন্য রাস্তায় চলাচল কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম থেকে আগে যেমন রিক্সা চালাতে চলে শ্রমজীবি মানুষ আসতো ঢাকায়,এখন আসে মোটর বাইক চালাতে। যেখানে সেখানে পেসেঞ্জার নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, পারলে গাড়ির উপর উঠে যায় এমনকি ফুটপাত ও ডিভাইডারে পর্যন্ত মোটরবাইক উঠিিয়ে দেয়। এটার একটা সমাধান হওয়া খুবই জরুরী তা না হলে খুব দ্রুতই ঢাকা শহর মোটর বাইকের শহর হয়ে দাঁড়াবে।
কোন জিনিস যখন খুব লিমিট ক্রস করে তখন আমরা সেই বিষয় নিয়ে কথা বলি, কিন্তু ততদিনে ব্যাপারগুলো অনেক গভীরে চলে যায়। দুই একটি সংরক্ষিত রাস্তা ছাড়া যেমন রিক্সা প্রায় সব রাস্তায়ই চলে,যখনি কোন রাস্তায় রিক্সা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তখনি তারা আন্দোলন শুরু করে, কোন আইন মেনে চলবেনা। তেমনিভাবে মোটর বাইকের অবস্থাও এমন যে তাদেরকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বললে তারাও আন্দোলন শুরু করবে। কয়েকদিন আগে আসাদগেট আড়ং এর সামনে মোটর বাইকে বসা পেসেঞ্জার বাসের চাপায় মারা গেলেন, আজকে আবার দুইজন মারা গেছে। এই রকম ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে।
আমাদের দেশে একটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে যখন কেউ কোন ব্যবসা শুরু করে আর সেই ব্যবসা যদি লাভবান হয় তাহলে দেখা যায় সবাই সেই ব্যবসায় হুমড়ি খেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাভ হোক বা না হোক, ব্যবসাটা সে বুঝুক আর নাই বুঝুক।
দিন কিন্ত পাল্টে গেছে,আপনাকে ভবিষ্যতের চিন্তা করে সময়োপযোগী ব্যবসার পরিকল্পনা করে এগুতে হবে এবং আমার মনে হয় যদি নিজের জমি থাকে তাহলে কৃষিকাজ কেনো করি না আমরা ? বাইরের দেশে দেখা যায় যারা বিত্তবান তারা শহর থেকে দূরে অপেক্ষাকৃত গ্রামীন পরিবেশে বসবাস করে এবং সবাই কৃষিকাজ করে, প্রয়োজনীয় শাকসব্জি ও ফল-মূল নিজেরাই উৎপাদন করে।
আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষের একটা স্বপ্ন থাকে ঢাকায় কবে যাবো!সমস্ত কিছু নিয়ে আমাদের যুব সমাজের নতুন করল চিন্তা-ভাবনা করা দরকার।ঢাকা শহরমুখী না৷ হয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা/ ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিয়ে উন্নত পদ্ধতির কৃষিকাজ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন “একটি বাড়ীকে একটি খামারে পরিণত করুন।”