১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতা এসে আমরা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আমরা চাই বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন। গ্রামের মানুষ যেন সব সুবিধা পায়, শহরমুখী যেন না হয়, সে জন্য কাজ করছি। সেখানে যেন কর্মসংস্থান হয়, সেভাবেই আমরা নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছি। এর জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় যা যা করা প্রয়োজন তা করছি। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। কৃষিজ উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) তিন দিনব্যাপী ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪৩তম কাউন্সিল অধিবেশন উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতার নির্দেশে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। ২১ বছর পর সরকারে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমিও কাজ শুরু করি। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ যেন উন্নয়নের স্বাদ পায় সে জন্য কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০৪১ সালের বাংলাদেশ নিয়ে আমরা কাজ করছি। তরুণ প্রজন্ম সে সময়ের কারিগর হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, এতে এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক ও সাবধান হয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আজ প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও রেশনিং করা হচ্ছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, মিতব্যয়ী হতে হবে, সঞ্চয়ী হতে হবে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আইডিইবির তিন বরেণ্য সদস্য প্রকৌশলীকে স্বর্ণপদক ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। সম্মাননা পাওয়া তিন জন হলেন, বীর প্রতীক এম এ হালিম, ফজলুল করিম খান ও মোহাম্মদ আলী।