পুনর্নির্বাচন চেয়ে ইসিতে আবেদন হিরো আলমের
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে জালভোট ও অনিয়ম হয়েছে দাবি করে পুনর্নির্বাচন চেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট কারচুপি করে আমাকে হারানো হয়েছে। আমি পুনরায় নির্বাচন চাই।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ইসির আগারগাঁও অফিসে আসেন হিরো আলম।
আবেদন জমা দেওয়ার পর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ দেশে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নেই। আমি এই সরকারের অধিনে তিনটি নির্বাচন করলাম। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছি, তখন মার খেয়েছি। ২০২৩ সালে বগুড়ায় উপনির্বাচন করলাম, সেখান মার খেলাম। আবার এখানে (ঢাকা) নির্বাচন করলাম, এখানেও মার খেলাম। তাহলে এই সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে আশা করি।
নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার জন্য তীব্র ভাষায় ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কমিশনার ফারুক স্যার যে কথাটা বলেছে তা খুবই দুঃখজনক, লজ্জাজনক। তার লজ্জা থাকলে এই কথা বলত না। কারণ একটাই, উনি বলেছে আমি নাকি একই কেন্দ্রে দুইবার গেছি। দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, ভিডিও ফুটেজগুলো দেখবেন- আমি ওই কেন্দ্রে দুইবার গেছি কিনা। একবারই গিয়েছিলাম।
হিরো আলম বলেন, ১৭ তারিখে সুষ্ঠু কোনো নির্বাচন হয়নি। তারা জাল ভোট দিয়েছে, আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে। ১২-১৩ বছরের ছেলে-মেয়ে ভোট দিয়েছে। একটা মেয়ে ১০-১৫টা করে ভোট দিয়েছে এবং তাদের জোর করে ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
‘সেই ভিডিও ফুটেসসহ আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আপিলের জন্য দিয়েছি। আমরা এই ফলাফল বাতিল চাই এবং পুনরায় নির্বাচন করার জন্য এখানে আজ আমরা এসেছি।’
গত সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে বনানী এলাকায় মারধরের শিকার হন হিরো আলম। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা হিরো আলমকে ধাওয়া দিয়ে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে একটি গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান হিরো আলম।
এ হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।