The news is by your side.

টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী

0 250

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তোলাটাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাদের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশবাসীকে উন্নত ও সুন্দর জীবন দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

আজ সোমবার সকালে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) সাভারে আয়োজিত বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৩তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমি চাই তরুণ অফিসাররা তাদের মনন ও বুদ্ধিমত্তাকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে। তারা দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতেও বিশেষ দৃষ্টি দেবেন। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে সেটা আমি চাই না। ইতিমধ্যে সরকার দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবের এই বাংলাদেশের সব মানুষ নিজের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারবে সেটাই আমি চাই। দেশে কোন ভূমিহীন বা গৃহহীন যেন না থাকে। ইতিমধ্যে হতদরিদ্র ভূমিহীন গৃহহীনদের মধ্যে বিনামূল্যে ঘর-বাড়ি করে দিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কোন এলাকায় গৃহহীন বা ভূমিহীন ব্যক্তি সরকারের গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে কিনা তা খুঁজে দেখার জন্যও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে শুধু গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছি তাই নয়, তাদের জীবন-জীবিকারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। কাজেই আমি চাই আপনারা যারা নতুন হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন তারাও এই বিষয়টির প্রতি খেয়াল রাখবেন। দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব সেভাবেই আপনারা কাজ করে যাবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে, সুন্দর জীবনের অধিকারি হোক এবং সে লক্ষ্য বাস্তবায়নেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জনগণের সেবায় নিবেদিত ও দক্ষ এবং পেশাদারি মনোভাব সম্পন্ন জনপ্রশাসন গড়ে তোলাটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সেবা দেওয়াটা আমাদের সবার সাংবিধানিক কর্তব্য। এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে। কাজেই জাতির পিতার সেই আদর্শ ধারণ করেই আপনারা কাজ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সম্পাদিত জাতির পিতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার (স্পেশাল ব্রাঞ্চের) রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশিত বই ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দি নেশন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এর সিরিজ বইগুলো এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন গ্রন্থটিও প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের পড়ে দেখার আহবান জানান।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.