আফগানিস্তানকে ৪ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকলো স্বাগতিক টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ১৬৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
১৬৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে এক চার ও এক ছক্কায় ১০ রান নেন আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন প্যাট কামিন্স। এই ওভারে ৫ রান দেন তিনি। তৃতীয় ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন জশ হ্যাজেলউ। ওভারের তৃতীয় বলে আফগান ওপেনার ওসমান গণির উইকেট তুলে নেন তিনি। উড়িয়ে মারতে গিয়ে কামিন্সের হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় ১৫ রানে ৭ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন গণি। তবে ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
দলীয় ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। এরপর ইনিংসের ১৫ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর উইকেট তুলে নেন জশ হ্যাজেলউড। উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা ওয়ার্নারকে ক্যাচ দেন নবী। ১৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান সংগ্রহ করে ১০৬ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
শেষ ২ ওভারে ৩৩ রান প্রয়োজন হয় আফগানদের। ইনিংসের ১৯ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন জশ হ্যাজেলউড। ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান রশিদ। এরপর ওভারের শেষ বলে চার মারেন তিনি। এই ওভার থেকে ১১ রান আদায় করে আফগানিস্তান। ফলে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২২ রান প্রয়োজন হয় আফগানিস্তানের।
ওভারের প্রথম বলে ওয়াইড হয় কিন্তু রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফিরে যান দারুস রাসুলি। ১৩ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান তিনি। পরের বল ডট করেন স্টোনিয়াস। ফলে ৫ বলে ২১ রান প্রয়োজন হয় আফগানিস্তানের। ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন রশিদ। তবে পরের বলটি আবারও ডট দেন। ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন রশিদ।
শেষ ২ বলে ১১ রান প্রয়োজন হয় আফগানদের। তবে পরের বল থেকে মাত্র ২ রান নেন রশিদ। ফলে ম্যাচ হাঁট ছাড়া হয়ে যায় আফগানদের। ওভারের শেষ বলে ৪ মারেন রশিদ। শেষ পর্যন্ত ৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আফগানদের। রশিদ খান ২৩ বলে ৪৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজেলউড নেন ২টি করে উইকেট। এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।