টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাত হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান। শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ রান করে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে শনিবার শেষ পর্যন্ত খেলেছেন ২৭ রানের ইনিংস। সৈকত আলীকে মিড উইকেটে খেলে দুটি রান নিয়ে সাকিব পৌঁছে যান সাত হাজার রানের মাইলফলকে।
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। ৩৮৭তম ইনিংসে তার মোট রান ৭ হাজার ১৯। গড় ২১.২৫। স্ট্রাইক রেট ১২৪.৩০। কোনও সেঞ্চুরি না থাকলেও আছে ২৯টি হাফ সেঞ্চুরি। তিনি খেলেছেন ৫ হাজার ৬৪১ বল। যেখানে ৬৪৬টি চার ছাড়াও আছে ১৯৭টি ছয়ের মার।
কেবল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কিংবা বিপিএল নয়, পাশাপাশি আইপিএল, পিএসএল, সিপিএল, কাউন্টি ক্রিকেট, বিগ ব্যাশ লিগেও খেলেছেন সাকিব। যেখানেই খেলেছেন, বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন সুনিপুণভাবে।
৪২২ ম্যাচের মধ্যে সাকিবের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ১১৭টি। জাতীয় দলের জার্সিতে ১২ হাফ সেঞ্চুরিতে তার সংগ্রহ ২ হাজার ৩৮২ রান। বাকি ৩০৫ ম্যাচ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলেছেন সাকিব।
সাকিবের আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে ৭ হাজার রানের কীর্তি আছে তামিম ইকবালের। ২৫৫ ম্যাচে তামিমের রান ৭ হাজার ৩৮৬। বিপিএলে রান সংগ্রাহকের তালিকায় সাকিব অবশ্য বেশ পিছিয়ে। এই ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের শীর্ষ রান সংগ্রাহক তামিম বিপিএলেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৯৬ ম্যাচ বাঁহাতি ওপেনারের রান ৩ হাজার ১২৮। এই তালিকার ছয় নম্বরে সাকিবের অবস্থান। ১০৭ ম্যাচে ২ হাজার ২০৭ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তালিকারে দুই, তিন, চার ও পাঁচ নম্বরে আছেন যথাক্রমে মুশফিকুর রহিম (৩১২০), মাহমুদউল্লাহ ( ২৩৯৪), ইমরুল কায়েস (২৩৩৭) ও এনামুল হক বিজয় (২৩১৬)।