সব জ্বল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাকিব আল হাসানকে করা হলো টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। অনলাইন বেটিং সাইটের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার পর তাঁর কাঁধেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের ভার তুলে দিল বিসিবি। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই অলরাউন্ডার নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশকে।
সাকিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন এ কথা। ১৬ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর শেষ হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সাকিব শুধু আসন্ন এশিয়া কাপেই নয়, চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বেটউইনারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার পরই অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল যে, সাকিব আল হাসানই হচ্ছেন এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এছাড়া দেখার বিষয় ছিল মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে দলে ফেরানো হয় কি না। অবশেষে দলে ফেরানো হলো মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
আজ এশিয়া কাপের ১৭ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে সাকিবকে অধিনায়ক করে। প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলে ফিরলেন সাব্বির রহমান। সৌম্য সরকারের ফেরার গুঞ্জন উঠলেও তাঁকে বাইরে রেখেই এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষণা করা হলো।
মূলত জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি দলে যারা ছিলেন তাদেরকেই এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হলো। শুধু ইনজুরির কারণে বাদ পড়লেন নুরুল হাসান সোহান এবং ওপেনার লিটন দাস। এই দু’জনের জায়গায় দলে ফিরলেন মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ।
অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকেও ফিরিয়ে আনা হয়েছে জাতীয় দলে। গত বছর অক্টোবরে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেন সাইফউদ্দিন। এরপর চোটের কারণে আর খেলা হয়নি।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, পারভেজ হোসেন, নুরুল হাসান ও তাসকিন আহমেদ।