চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মঙ্গলবার সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটের ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। গড়েছেন বেশ কয়েকটা বিশ্বরেকর্ড।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে আফগানিস্তান। এই জয়ে গ্রুপ সি’তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার এইটে উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে আফগানিস্তানও।
এদিন উইন্ডিজের ব্যাটার নিকোলাস পুরান এবং জনসন চার্লস আফগান বোলাদের ওপর ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান। এই ম্যাচে তারা এক ওভারে নিয়েছেন ৩৬ রান। পাশাপাশি পাওয়ার-প্লেতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোরও করেছেন।
এ সময় তারা ভেঙে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ১০ বছরের পুরনো রেকর্ড। নিকোলাস পুরান এবং জনসন চার্লস একসঙ্গে আফগানিস্তানের বোলারদের ওপর আক্রমণ করেন। যাতে প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ১টি উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাওয়ার-প্লে স্কোর। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল নেদারল্যান্ডসের দখলে। ২০১৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১ উইকেট হারিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৯১ রান করেছিল ডাচরা।
নিকোলাস পুরান ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান করে ক্যারিবীয়রা। মাত্র ৫৩ বলে ৬ চার ও ৮ ছক্কায় ৯৮ রান করেন পুরান। ২৭ বলে ৪৩ রান করেন জনসন চার্লস।
২১৯ রানের লক্ষ্যে আফগানিস্তানের ঝোড়ো শুরুই করতে হতো। আফগানিস্তানকে ঝোড়ো শুরু এনে দিতে পারতেন যিনি, সেই রহমানউল্লাহ গুরবাজ আজ ফিরেছেন প্রথম ওভারেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন বলের ভরসা স্পিনার আকিল হোসেনের বলে কোনো রান না করেই ফেরেন গুরবাজ। তাঁর উইকেট হারিয়ে প্রথম ৬ ওভারে আফগানিস্তান তুলতে পারে মাত্র ৪৫ রান। এরপর অষ্টম ওভারে ইব্রাহিম জাদরান ৩৮ রানে আউট হলে একের পর উইকেট পড়তে থাকে আফগানদের।
শেষ পর্যন্ত ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান এবং ১০৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যারিবিয়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ওবেদ ম্যাকয় ৩ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ মাত্র ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন আকিল হোসেন। ২ উইকেট শিকারে ২৮ রান খরচ করেছেন গুদাকেশ মোতি। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন আন্দ্রে রাসেল এবং আলজেরি জোসেফ।