ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদের জন্য শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। স্বাধীন ভারতের ৭৮ বছরের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় কোনো নেতা, যিনি তৃতীয়বার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেলেন। তবে মোদি এর আগে দু’বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এলেও এবার নির্বাচনে খারাপ ফলাফল করায় তাঁকে সরকার পরিচালনার জন্য জোট শরিকদের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। দেশটির বিরোধী দল মনে করছে, ৭৩ বছর বয়সী মোদির এবারের সরকার বেশি দিন টিকবে না।
রোববার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এ সময় হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা মোদি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ‘সংবিধানের প্রতি সত্যিকারের আনুগত্য’ প্রদর্শনের শপথ নেন। এর পর আরও ৭২ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শপথ হয়। শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন অমিত শাহ, এস জয়শঙ্কর, মনোহরলাল খট্টর, নির্মলা সীতারামন, শিবরাজ সিংহ চৌহান, রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি, জেপি নাড্ডা, জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী, পীযূষ গয়াল, ধর্মেন্দ্র প্রধান।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল, মৌরিতাস, মালদ্বীপ ও সিসিলিসের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনা হিলসে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের সোয়াত এবং এনএসজির কমান্ডোদের অনুষ্ঠানস্থল ও কৌশলগত অবস্থানের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ রাজধানীকে একটি ‘নো-ফ্লাই’ জোন ঘোষণা করেছে। এছাড়া আগামী কয়েক দিন ড্রোন, প্যারা গ্লাইডার, রিমোটচালিত উড়োজাহাজ এবং গ্যাসভর্তি বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
.