টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া। অতিরিক্ত সময়ের ১০৬ মিনিটে ডেড লক ভাঙ্গেন নেইমার। তবে ম্যাচের ১১৭ মিনিটে সমতায় ফিরে ক্রোয়েশিয়া। এরপর আর কোন গোল না হলে ১-১ গোল সমতায় শেষ হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে ক্রোয়েশিয়া।
পুরো ১২০ মিনিটে অসংখ্যবার ব্রাজিলকে গোলবঞ্চিত রেখেছেন তিনি। টাইব্রেকারে এসেও শুরুতে রদ্রিগোর শট ঠেকিয়ে দিয়ে ব্রাজিলের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন তিনি।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই কর্নার পায় ব্রাজিল। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৯৫ মিনিটে বাম দিক থেকে ক্রস করেন দানিলো। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৯৬ মিনিটে গোছানো আক্রমণে যায় ব্রাজিল। তবে তা আটকে দেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ৯৯ মিনিটে বাম দিকে থেকে ক্রস বাড়ান রদ্রিগো। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে।
ম্যাচের ১০২ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় ক্রোয়েশিয়া। সেখান থেকে শট করলেও তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ১০৫ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন দানিলো। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর থেকে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সের সামনে লুকাস পাকেতার সঙ্গে ওয়ান টু করে বল নিয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে জড়ান নেইমার। তার গোলে ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড পায় ব্রাজিল। নেইমারের দেওয়া গোলে এগিয়ে থেকে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই ফ্রি কিক পায় ক্রোয়েশিয়া। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১০৮ মিনিটে বাম দিক থেকে ক্রস করেন ইভান পেরিসিচ। তবে তাতে মাথা ছোঁয়াতে পারেনি কেউ। এরপর ম্যাচের ১০৯ মিনিটে কর্নার পায় ক্রোয়েশিয়া। এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করে ক্রোয়েশিয়া। তবে তা ক্লিয়ার করে দেয় ব্রাজিলের ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচের ১১৪ মিনিটে কর্নার পায় ব্রাজিল। সেখান থেকে শট কর্নার নেয় অ্যান্টোনি। ম্যাচের ১১৫ মিনিটে ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। তবে সেখান থেকে বল নিজেদের কাছেই রাখে তারা। ম্যাচের ১১৭ মিনিটে গোল করে সমতায় ফিরে ক্রোয়েশিয়া। বাম দিক বাড়ানো বলে শট করে বল জালে জড়ান ব্রুনো পেটকোভিচ। এরপর আর গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি।
টাইব্রেকার ভাগ্যে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। প্রথম শট নিয়ে ক্রোয়াটরা গোল করে। ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম শট নিয়ে জালে পাঠাতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদে খেলা তরুণ ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। ক্রোয়েশিয়া পরের তিনটি শটেই গোল করে। কিন্তু ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ শটটি নিতে আসেন পিএসজি খেলা অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মার্কুইনোস। তিনি পোস্টে মেরে হতাশায় ডোবেন।
জাপানের পরে সেলেসাওদের বিপক্ষেও টাইব্রেকারে জয় তুলে নিল ক্রোয়েশিয়া। এমনকি রাশিয়া বিশ্বকাপেও ওই টাইব্রেকারে নিজেদের দৃঢ়তা দেখিয়েই ফাইনালে খেলেছিল দলটি। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার এবার প্রতিপক্ষের অপেক্ষা। রাতের ম্যাচে ল্যাতিনের আরেক দল আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে ইউরোপের দল নেদারল্যান্ডসের। ওই ম্যাচের জয়ী দল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নামবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে।