জাপানে আঘাত হানা ভয়াবহ টাইফুনে অন্তত ৩৫ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১৭ জন। ঝড়ের আঘাতে ভেঙে পড়েছে বহু ঘর-বাড়ি, প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। গত ৬০ বছরে এটাকে জাপানের সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় মনে করা হচ্ছে।
গতকাল রবিবার সকালে ঝড় কিছুটা দুর্বল হলেও এর জেরে ধ্বংস কিছু কম হয়নি। বাতিল করা হয়েছে রাগবি বিশ্বকাপের আরো একটা ম্যাচ। প্রবল বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে জাপানের নাগানোতে। চিকুমা নদীর জলোচ্ছ্বাসের জেরে আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বাড়ির তিন তলা পর্যন্ত বন্যার পানি উঠে গেছে। দুর্যোগ পীড়িত মানুষদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে জাপানের সেনাবাহিনী।
বাড়ির ছাদে বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তোয়ালে নেড়ে সেনাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা গেছে দুর্গতদের। নাগানো শহরের এক জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তা ইয়াসুহিরো ইয়ামাগুচি জানিয়েছেন, এক রাতে ৪২৭টি বাড়ির ১ হাজার ৪১৭ জনকে সরানো হয়েছে। আরো কত বাড়ি বন্যা কবলিত তা স্পষ্ট নয়। আকাশপথে তোলা ফুটেজে দেখা গেছে, নাগানো শহরে পানিতে প্রায় অর্ধেক ডুবে গেছে বুলেট ট্রেন।
হাগিবিসের জেরে ইতোমধ্যেই প্রায় তিন লাখ বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। টোকিওর সঙ্গে সংযোগকারী সমস্ত বিমানের ফ্লাইট রবিবার সকাল পর্যন্ত বাতিল করা হয়। সরকার ৬ লাখ বাসিন্দাকে এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের হিসাবে, ৮৭০ মাইল এলাকাজুড়ে এগোতে থাকা ওই টাইফুনের জেরে তীব্র ঝড়ো বাতাস বইবে। ১৯৫৮ সালে আঘাত হানা টাইফুনে প্রায় ১২শ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। তীব্রতায় হাগিবিস তার সমকক্ষ হলেও হতাহত আগের মতো হবে না বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।