আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। লক্ষ্য রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সুদুরপ্রসারী অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্য ভেস্তে গেছে জো বাইডেনের সব পরিকল্পনা।
দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে ভ্লাদিমির পুতিন এশিয়ার বৃহৎ দুটি দেশ চীন ও ভারতকে কম দামে বিশ্ব বাজারের চেয়ে কম মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে। কিন্তু ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
কোনভাবেই যখন রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে জমানো সম্ভব হচ্ছে না এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার লাগাম টেনে ধরতে দেশটির তেলের দাম বেঁধে দিতে একাট্টা হয়েছে শিল্পোন্নত সাত জাতিগোষ্ঠী বা দ্য গ্রুপ অফ সেভেন (জি-সেভেন) । রাশিয়া যে সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করে। এবার নতুন কৌশল হিসেবে ভারত ও চীন কে তাদের বেঁধে দেওয়া মূল্যে জ্বালানি তেল কিনতে চাপ প্রয়োগ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
আমেরিকান বেসিক ক্যাবল বিজনেস নিউজ চ্যানেল সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইইউ’র জ্বালানি বিষয়ক কমিশনার ক্যাডরি সিমসন শনিবার ব্রাসেলসে এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাশিয়া যখন ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে, তখন মস্কোর হাতে জ্বালানি বিক্রির অতিরিক্ত অর্থ তুলে দেওয়া সমীচীন হবে না।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি-সেভেনের দেশগুলো শুক্রবার রাশিয়ান তেলের ওপর একটি নির্দিষ্ট মূল্য আরোপের পরিকল্পনায় সম্মতি ঘোষণা করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যয় করার জন্য রাশিয়ার আর্থিক উৎস সীমিত করে দেওয়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে দাম নির্ধারণে সম্মত হলেও ঠিক কতো ডলারে এ দাম নির্ধারণ করা হবে- তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিশেষ করে চীন ও ভারতের মতো মূল ভোক্তারা এতে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার দুই বৃহত্তম অংশীদার চীন ও ভারত জি-সেভেনের এই সিদ্ধান্ত মানা দূরে থাক, দেশ দুটি রাশিয়ার ওপর পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ার পর মস্কোর কাছ থেকে তেল কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত ও চীনকে কম দামে তেল দিচ্ছে রাশিয়া।
অন্যদিকে, রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে, জি-সেভেনের ঠিক করে দেওয়া দর যারা মেনে চলবে মস্কো তাদের কাছে তেল বিক্রি করবে না।