ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে চলেছে। এবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে।
রাশিয়ার তেলের ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে বলে জানানোর পরই এশিয়ার বাজারে জ্বালানি তেলের দামে এই ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
বিবিসি বলছে, রোববার (৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১৩৯ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে। যদিও পরে তা ১৩০ মার্কিন ডলারে নেমে আসে।
এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, বাইডেন প্রশাসন এবং মিত্ররা রাশিয়ার তেল সরবরাহের ওপর অবরোধ আরোপের বিষয় বিবেচনা করে দেখছে।
পরে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি জানান, রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একটি আইন করার বিষয়ে ‘ভেবে দেখছে’ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে- এ আশঙ্কায় গত সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এর প্রভাবে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে ভোক্তাব্যয়ও।
রোববার আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পাম্পগুলোতে পেট্রোলের দাম গত সপ্তাহে ১১ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৮ সালের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ।
আর ব্রিটেনে রয়্যাল অটোমোবাইল ক্লাব (আরএসি) জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে পেট্রোলের দাম গড়ে প্রতি লিটারে দেড় পাউন্ড বেড়েছে।
তবে, জ্বালানি তেল উৎপাদন-বিক্রির বহুজাতিক কোম্পানি শেল রাশিয়া থেকে ক্রুড অয়েল কেনার পক্ষে যুক্তি দিয়েছে। এক বিবৃতিতে শেল জানায়, কমদামে জ্বালানি কেনার সিদ্ধান্তটি কঠিন ছিল। তাই তারা শুক্রবার (৪ মার্চ) রাশিয়া থেকে এক কার্গো জ্বালানি কিনেছে। তাছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।
অন্যদিকে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনায় শেলের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, রাশিয়ার তেলে ইউক্রেনীয়দের রক্তের গন্ধ পান না আপনারা?