প্রথমে মারিয়ুপোল। ক্রমে গোটা ডনবাস এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে আনতে বদ্ধপরিকর রাশিয়া। এই মুহূর্তে রুশদের লক্ষ্য লুহানস্কের সেভেরোডনেৎস্ক শহর। কয়েক দিন ধরে ভয়ানক যুদ্ধ চলছে ডনবাসের পূর্বপ্রান্তের এই শহরটিতে। দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে নিয়েছে রুশরা। তবে নিয়ন্ত্রণ এখনও ইউক্রেনের হাতে।
লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইডাইয়ের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক গোটা শহরটাকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে রুশ সেনারা। ঠিক যেমনটা করা হয়েছিল মারিয়ুপোলে। আবাসন থেকে সিনেমা হল, রুশ হামলার থেকে রেহাই পাচ্ছে না কিছুই। সেরহি দাবি করেছেন, একাধিক বাসিন্দার মৃত্যুর খবর তাঁরা পেয়েছেন। তবে ইউক্রেন সরকারের কাছে এক রকম স্পষ্ট, এটিও রাশিয়ার দখলে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ, লুহানস্কের বড় শহরগুলির মধ্যে একমাত্র সেভেরোডনেৎস্কই রাশিয়ার হাতে ছিল না। কিন্তু যা পরিষ্কার নয়, তা হল ডনবাস দখলের পরে কী করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন!
ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির নিজের শহর ‘ক্রিভি রি’। এই শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে একটি সেনাঘাঁটি ধ্বংস করেছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকোভ দাবি করেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁরা ৩০০-রও বেশি ‘জাতীয়তাবাদী’ (ইউক্রেনীয় সেনা)-কে হত্যা করেছেন।
তিনি জানান, নিপ্রো শহরে একটি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমান এসইউ-২৫-কে গুলি করে নামিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। কোনাশেনকোভ বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে ৩০০-রও বেশি জাতীয়তাবাদীকে হত্যা করা হয়েছে, অন্তত ৫০টি সেনা ইউনিট ও সেনাবাহিনীর বিশেষ অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করা হয়েছে।’’
ব্রিটেনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কেলিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রাজধানী দখল করে নেওয়ার কথা কখনও বলেনি রাশিয়া। কিভ অবধি যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা মস্কোর নেই।