The news is by your side.

জুলাই থেকে ‘নো ট্র্যাকিং ডিভাইস, নো ফুয়েল’: জ্বালানি সচিব

0 126

 

স্মার্ট ফুয়েল ডিস্ট্রিবিউশন মনিটরিং সিস্টেম (এসএফডিএমএস) চালু করতে আগামী ১ জুলাই থেকে ট্র্যাকিং ডিভাইস বা অনুসরণের বিশেষ প্রযুক্তি না থাকলে ডিপো থেকে ট্যাংক-লরিতে আর তেল দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ইতোমধ্যে সকল ট্যাংক-লরিতে ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তেলবাহী গাড়িতে ট্র্যাকিং সিস্টেম বসাতে অনীহা প্রকাশ করছে।

দেশের জ্বালানি তেল পরিবহনকে আধুনিক করতে এসএফডিএমএস চালু করার উদ্যোগ নেয় জ্বালানি বিভাগ। জ্বালানি তেল পরিবহন থেকে ভোক্তার কাছে পাঠানো অবধি পুরো প্রক্রিয়াটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আনতেই এই ব্যবস্থা চালুর চিন্তা করা হয়।

জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, জ্বালানি তেল বহনকারী ট্যাংক-লরিগুলো কোন জায়গা থেকে কোন জায়গা যায়- সেটি মনিটরিং করা জরুরি। জ্বালানি তেলের ভেজাল প্রতিরোধ করতে ট্যাংক লরিগুলোতে পর্যবেক্ষণ দরকার। বিশেষত বাংলাদেশের গ্যাস ফিল্ডগুলোতে জ্বালানি তেল হিসেবে ব্যবহার করা যায় এমন কনডেনসেট ওঠে। এসব কনডেনসেট ফ্যাক্টরিতে নিয়ে পরিশোধন করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এসব কনডেনসেট জ্বালানি তেলের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করে। জ্বালানি বিভাগ থেকে বারবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তেলের ভেজাল বন্ধে চেষ্টা করা হলেও তা একেবারে বন্ধ হচ্ছে না। এ কারণে প্রযুক্তি ব্যবহার করলে একটি ট্যাংক-লরি কোন জায়গা থেকে কোন জায়গায় যাচ্ছে তা বোঝা যাবে। এতে ভেজাল প্রতিরোধ করা সম্ভব। পাশাপাশি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সহজ হবে।

বিপিসির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৬৬টি ট্যাংক-লরিতে এই ব্যবস্থা সংযোজন করা হয়েছে। ডিভাইস সংযোজনে ট্যাংক-লরি অ্যাসোসিয়েশনের কিছুটা অনীহা রয়েছে। দ্রুত সকল অন্তরায় দূর করার নির্দেশ দিয়েছে বিপিসি।

এদিকে, এই বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের এক বৈঠকে জ্বালানি বিভাগের সচিব নূরুল আমিন বলেন,  আগামী পহেলা জুলাই থেকে ট্র্যাকিং ডিভাইস না থাকলে আর জ্বালানি তেলে দেবে না ডিপো। ‘নো ট্র্যাকিং ডিভাইস, নো ফুয়েল’ লিখে ডিপোতে ডিপোতে টাঙ্গিয়ে দিতে নির্দেশ দেন তিনি।

জ্বালানি সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কুইক উইন ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের আওতায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে আরও দ্রুততার সঙ্গে সেবা দেওয়া যায় তা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে জ্বালানি বিভাগ এই উদ্যোগ নিয়েছে।

সচিব বলেন, ট্র্যাকিং ডিভাইসের আইডিয়া নিয়ে অনেক আগেই আমরা চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু চালকদের বেশিরভাগের টেকনোলজির অধীনে আসতে অনীহা থাকার কারণে কাজটি করা যাচ্ছিল না। অনেকের কাছে নতুন প্রযুক্তিতে আসাটাই কঠিন মনে হয়৷

Leave A Reply

Your email address will not be published.