‘‘জীবন দিয়েও অধিকার রক্ষার আন্দোলন চলবে। কেউ ভয় দেখালে, জবরদস্তি করলে, দেশের জনগণ, বাংলার মানুষ সমর্থন করবে না’’, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এ ভাষাতেই বৃহস্পতিবার গর্জে উঠলেন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজাবাজার থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত মিছিল মমতার। রাজাবাজার থেকে মিছিল শুরুর আগে সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতায় শপথ পাঠ করান তৃণমূলনেত্রী। বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন ফের মমতা বলেন, ‘‘গায়ের জোর দেখাবেন না। যতদিন না আইন প্রত্যাহার হচ্ছে, এই আন্দোলন চলবে’’। তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, ‘‘এই আন্দোলন মানুষের আন্দোলন, জীবন দিয়েও চলবে এই আন্দোলন’’।
সিএএ বিরোধিতায় ছাত্রদের মিছিলের পাশে থাকার বার্তাও দেন মমতা। এ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আন্দোলন করায় পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়াদের উপর জুলুম চললে আমরা রুখে দাঁড়াবই’’।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার স্বামীজির বাড়ি থেকে বেলেঘাটায় গান্ধী ভবন পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন মমতা। সেদিনের মিছিল থেকে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় নিশানা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। লখনউ বিমানবন্দরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকানোর ঘটনায় সোচ্চার হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘‘আমাদের প্রতিনিধিদের বিমানবন্দর থেকেই নামতে দেওয়া হল না’’। এরপরই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সোমবার কলকাতায় বিজেপির অভিনন্দন যাত্রাকে বিঁধে মমতা বলেন, ‘‘বাংলার আইনশৃঙ্খলা দ্যাখ। মিছিল করেছিস, গালি দিয়েছিস আমায়, চলেও গেলি। আটকালে এক সেকেন্ড লাগত। কিন্তু আমরা করিনি’’। এরপরই কলকাতায় সোমবার বিজেপির মিছিলের প্রধান মুখ জে পি নাড্ডার নাম না নিয়ে মমতার কটাক্ষ, ‘‘কোমরে ব্যথা! হাঁটতে পারেন না। গাড়িতে করে মিছিল করল। গাড়িতে করে টাটা করে গেলেন’’।
মঙ্গলবারের মিছিলেও ‘আমরা কারা, নাগরিক’ স্লোগানে মুখরিত হয় মমতার মিছিল। কোনওভাবেই যে এনআরসি ও সিএএ মানবেন না, তা আবারও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন মমতা। এর আগে সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের তদারকিতে জনমত সমীক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন মমতা।