গত ১১ বছরে আপনার ছবির সংখ্যা মাত্র ১০। এত কম কেন?
আমি গল্প ও চরিত্র নিয়ে অনেক বাছবিচার করি। তাই আমার ছবির সংখ্যা কম। এটা এমন নয় যে, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে কাজ করতে চাননি। চেয়েছেন।
আপনার অভিষেক হওয়ার কথা ছিল রণবীর কাপুরের বিপরীতে ‘রকস্টার’ সিনেমায়। সেই ছবিতে কাজ করলেন না কেন?
বলিউডে আসার আগে থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মডেলিংয়ের কাজ করি। যখন ইমতিয়াজ আলি ‘রকস্টার’ সিনেমায় কাজের কথা বললেন, তখন অন্য একটি কাজের ব্যস্ততা ছিল। সময় না মেলাতে পারার কারণে করা হয়নি। মজার বিষয় হলো, ইমতিয়াজ আলিই কিন্তু ‘ককটেল’ সিনেমার জন্য হোমি আদাজানিয়ার কাছে আমায় রেফার করেছিলেন।
বলিউডে ১১ বছর কাটানোর পর অভিনেত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান নিয়ে অনুশোচনা হয়?
শুধু অভিনেত্রী নয়; দিন শেষে আমিও একজন রক্তমাংসের মানুষ। তাই সাফল্যে আনন্দ, অসাফল্যে মন খারাপ আর পাঁচজন মানুষের মতো আমাকেও ছুঁয়ে যায়– একথা অস্বীকার করব কী করে? কিন্তু তা নিয়ে হতাশায় ডুবে যাওয়ারও কোনো অর্থ নেই।
ব্ল্যাডি ড্যাডি সিনেমাটি নিয়ে বলুন?
ফরাসি সিনেমা ‘ন্যুট ব্লানশ’-এর অফিশিয়াল হিন্দি রিমেক ‘ব্ল্যাডি ড্যাডি’। মাত্র ৩৬ দিনে এ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন পরিচালক। শুটিং দ্রুত শেষ হলেও মান নিয়ে কোনো আপস করেননি পরিচালক। ফরাসি ছবিটি আমি দেখেছি। ভালো লেগেছে। আশা করছি, এটিও দর্শকের ভালো লাগবে। অভিনেত্রী হিসেবে এই ট্রেন্ড আমি পছন্দ করি।
বলিউডের অন্য অনেক নায়িকার মতো আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না…
আমি আমার ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনকে আলাদা রাখতে পছন্দ করি। তাই আজ পর্যন্ত বয়ফ্রেন্ড, এমনকি আমার বাবা-মাকে নিয়েও খুব একটা কথা বলিনি। আমার ঘনিষ্ঠ মানুষদের ব্যক্তিগত গণ্ডির মধ্যেই রাখতে চাই। জানি আমি একজন অভিনেত্রী। পাবলিক ফিগার। কিন্তু কাছের মানুষদের জনসমক্ষে আনব কি আনব না, সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার।
আপনি সবসময় নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন…
ছোটবেলা থেকেই আমি এমন। স্বাধীন মনে সব বুঝে নিতে চেয়েছি। ছোটবেলা থেকে শিখে আসা শৃঙ্খলা, জীবনদর্শন, কিছু চেতনা আমার মধ্যে কাজ করে। জীবনের চাওয়া এবং তা না পাওয়ার মধ্যকার অশান্তি বহন করে চলার মেয়ে আমি নই। চলতি পথে চারপাশের মানুষ দেখতে দেখতে এই জীবনবোধ তৈরি করে নিয়েছি। আমার অবচেতনেই জীবনবোধ তৈরি হয়েছে। স্বাধীন মনে জীবনকে বুঝে নিতে চেয়েছি।
বলিউডের নায়িকা হয়েও আপনি এত সহজ-সরল!
দেখুন, জীবনে কোনো কিছুই বাধ্যতামূলক নয়– এ দর্শন সামনে রেখেই পথ চলে এসেছি। তাই বলিউডে কাজ শুরুর আগে আমি যেমন ডায়না ছিলাম, এখনও তেমনই।
আপনি আন্তর্জাতিক একজন মডেল। আপনার স্টাইল সম্পর্কে জানতে চাই।
আমার স্টাইল খুব সহজ। আমি সাজ-পোশাকের ব্যাপারে খুব একটা ভাবি না। বাইরে যাওয়ার আগে আয়নার সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানোর মত মেয়ে আমি না না। এত ধৈর্য আমার নেই। আয়নায় মনোযোগ দিতে না পারলেও যখন যে কাজটি করি, সেটি পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করি।