ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর তিন মাসের বেশি অতিক্রান্ত। এখনও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি পুতিন বাহিনী। এরমধ্যেই জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে দাবি করল রাশিয়া। শনিবার মস্কো জানিয়েছে, বারেন্টস উপসাগরে এই পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে মোতায়েন অ্যাডমিরাল গরসকভ রণতরী থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। হাজার কিলোমিটার দূরে শ্বেত সাগরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন ধরনের সমরাস্ত্র পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তারই অঙ্গ।
২০২০ সালের অক্টোবরে জিরকন ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা সেরেছিল রাশিয়া। সেবার পরীক্ষার সাফল্যকে ‘বিশেষ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার অস্ত্রাগারে আরও একটি হাতিয়ার যুক্ত হল।
’ এরপর ওই একই রণতরী ও সাবমেরিন থেকে পরবর্তী পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে দাবি, শব্দের পাঁচ থেকে ১০ গুণ বেশি গতিতে ধেয়ে যেতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সর্বাধিক পাল্লা ১ হাজার কিলোমিটার।
ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্যের জন্য জার্মানি এবং ফ্রান্সকে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন। তিনি বলেন, এর ফলে পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। শনিবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলার ওলাফ স্কোলাৎজকে পুতিন বলেছেন, ‘এ ধরনের অস্ত্র সাহায্যের ফলে পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া মানবিক সঙ্কটও দেখা দেবে।’ এদিন পূর্ব ইউক্রেনের ছোট শহরগুলিতে তাদের আধিপত্য আরও জোরাল হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, রুশ সেনা ও স্থানীয় যোদ্ধারা একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন দখল করেছে। ডনবাস এলাকা খুব শীঘ্রই তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।