শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদকে ছয় মাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৫০ লাখ টাকার অর্থদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করার পর তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে ৫ বছরের সাজা দেন নিম্ন আদালত। এ রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করেন এমপি হারুন। দুপুরে আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের বেঞ্চ তাকে ৬ মাসের জামিন দেন।
আদালতে হারুনুর রশীদের করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মিজানুর রহমান এবং হারুনুর রশীদের স্ত্রী আইনজীবী সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জামিন আদেশের বিষয়টি কমিশনকে জানানো হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারই আদেশর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হবে। এক্ষেত্রে যদি আদেশের অনুলিপি না পাওয়া যায় তাহলে জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করা হবে।
গত ২১ অক্টোবর বিএনপির এ নেতাকে ৫ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুনুর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে হারুনুর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। পরে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একই বছরের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত। যার ধারাবাহিকতায় গত ২১ অক্টোবর হারুনুর রশিদকে পাঁচ বছরের দণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এ মামলায় ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককেও সাজা দেওয়া হয়েছে।