জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল ও ছররা গুলি চালিয়েছে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা সংঘর্ষের পর টিয়ারশেল, ও ছররা গুলিতে অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের একজনকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এ সংঘর্ষ চলছে।
সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীদের তিন দিকে ছত্রভঙ্গ করে দিলে শিক্ষার্থীরা বটতলা, ট্রান্সপোর্ট ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের দিকে চলে যান। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করলে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রান্তিক গেট, শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে প্রায় ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া, প্রধান ফটকের বাহিরে অবস্থান নেয় প্রায় এক হাজার বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ।
বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমসহ অন্যান্য সিন্ডিকেট সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।