জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পানি সমুদ্রে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে ক্ষোভের মধ্যে চীন এ পদক্ষেপ নেয়।
২০১১ সালে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিপর্যয়ের পর সেখানকার দূষিত পানি সমুদ্রে ফেলার পরিকল্পনা করে জাপান। চীনের কাস্টমস এজেন্সি বলছে, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পরিকল্পনাটি হচ্ছে না।
এ অবস্থায় জাপান থেকে ভোজ্য আমদানির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন। চীন বলছে, এটি তাদের দেশের ভোক্তাদের জাপান থেকে আমদানি করা খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ভোক্তাদের উদ্বেগ কমাতে তারা ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেবে
ফুকুশিমাসহ ১০টি জাপানি এলাকা থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে পণ্য চালান সম্পূর্ণরূপে স্ক্রিনিং (তেজস্ক্রিয়তা পর্যবেক্ষণ) করার সিদ্ধান্ত নেয় চীন।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস বলছে, ২০১১ সালের পারমাণবিক বিপর্যয় থেকে পানি নিষ্কাশনের পরিকল্পনায় ‘বিশেষজ্ঞ মতামত সম্পূর্ণরূপে মানা হয়নি।’ এ নিয়ে চীনা ভোক্তাদের উদ্বেগ রয়েছে।
১২ বছর আগেই চীন প্রথম জাপানের ১০টি এলাকা থেকে খাদ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২০১১ সালের মার্চ মাসে উত্তর-পূর্ব জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিপর্যয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ নির্গত হওয়ার পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ফুকুশিমা ছাড়াও জাপানের অন্যান্য এলাকার খাবার, বিশেষ করে ভোজ্য পণ্যগুলো চালানে দেশটির সার্টিফিকেশন নথিতে কঠোরভাবে শতভাগ স্ক্রিনিং করা হবে বলে জানায় চীন।
চীনের কাস্টমস এজেন্সি জানায়, তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে চীনে রপ্তানি করা জাপানি খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য আমদানি কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস বলছে, জাপান থেকে সমুদ্রে পরমাণু দূষিত পানি নিঃসরণ পুরো বিশ্বের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। তবে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা জাপানের পানি ছাড়ার এ পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেছে।
কিন্তু চীনের পরমাণু শক্তি কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশেরও বেশি পারমাণবিক দূষিত পানিতে ফিল্টার ব্যবস্থায় আরও নিষ্কাশন প্রয়োজন।