জলবায়ু পরিবর্তন আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি সারা বিশ্বের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা গড়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে।
দেশটির সরকারি এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে এর নানা লক্ষণ ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে।
পরিস্থিতি আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে সাবধান করে দিচ্ছে এই প্রতিবেদন।
দেশটির উত্তরে এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অংশে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
১৯৪৮ সালে প্রথম দেশটিতে জাতীয় পর্যায়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। এর পর থেকে দেশটির গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৭ সেলসিয়াস।
কিন্তু উত্তরাঞ্চলে তা ২.৩ সেলসিয়াস বেড়েছে।
যা ঘটবে এর ফলে
বেশ কটি কারণ রয়েছে এর পেছনে। মানুষের কর্মকাণ্ডই এর প্রধান কারণ।
সেখানে তুষার ও সামুদ্রিক বরফ কমে যাচ্ছে। যার ফলে সৌর বিকিরণ শোষণ বাড়ছে এবং ভূপৃষ্ঠ আরও গরম হচ্ছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে আবহাওয়া জনিত চরম পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
দাবদাহ বৃদ্ধি পাবে, দাবানল ও খরার হুমকি তৈরি হবে।
সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমবে কিন্তু অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
যার ফলে সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আগামী কয়েক দশকের মধ্যে কানাডার সীমান্তবর্তী আর্কটিক সমুদ্রে গ্রীষ্মকালে বরফের পরিমাণ মারাত্মক কম থাকবে।
সমুদ্রের পানি বাড়তে থাকবে আর বৃষ্টির সম্ভাবনাও বাড়বে।
কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে?
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বছর দুয়েক আগে দেশটির সব অঙ্গরাজ্যগুলোকে হুমকি দিয়েছিলেন যে তাদেরকে এই তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পরিকল্পনায় অংশ নিতে হবে।
সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে জ্বালানি তেলের উপর কার্বন নিঃসরণের কর বা কার্বন ট্যাক্স বসানো হবে।
কার্বন তৈরি করে এমন খাতের জন্য প্রতি টন কার্বনে ২০ কানাডিয়ান ডলার কর দিতে হবে।
যা ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করা হবে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের কমানোর ব্যাপারেও মানুষের মতামত পরিবর্তন হচ্ছে।
একটি সময় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে ভবিষ্যতের বিষয় বলে মনে করতেন অনেকে।
টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথিউ হফম্যান বলছেন, “সাধারণ মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে মত পরিবর্তন হচ্ছে। কারণ তারা এখন সরাসরি পরিবর্তন অনুভব করতে পারছে। তারা এর মধ্যে জীবনযাপন করছে।”