The news is by your side.

জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন স্থগিত: আপিল বিভাগ

0 139

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন শুনানি চার মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এ সময়ে তাঁর জামিন স্থগিতই থাকছে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

আদালতে খাদিজার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। শুনানিতে খাদিজার আইনজীবীরা বলেন, তিনি (খাদিজা) ইউটিউব চ্যানেলে উপস্থাপনা করতেন। অতিথিরা যা বলেছেন, এর দায় তাঁর নয়।

তখন আপিল বিভাগ বলেন, আপনি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে টকশোতে ইন্টারভিউ’র জন্য কাউকে ডাকলে তিনি যা বলবেন, তাঁর দায়িত্ব কেন নেবেন না? যে বক্তব্যের জন্য এ মামলা, সেখানে খাদিজা কিছু বোঝে না, এটা বলা যায় না। কারণ সে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় খাদিজাতুল কুবরাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দু’টি মামলা করে পুলিশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে করা দু’টি মামলার এজাহারের অভিযোগ এবং বর্ণনা প্রায় একই রকম। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খাদিজাতুল কুবরা ও দেলোয়ার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা, মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলেন। আসামিরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের প্রয়াস চালাচ্ছেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.