মিমি চক্রবর্তী, ৩৪ বছরে পা দিয়ে নতুন করে জীবন উপভোগ করছেন নায়িকা। বয়স যতই হোক, জন্মদিন সবার কাছেই বিশেষ। নিজেকে অনুভব করার সময়, অস্তিত্ব উদ্যাপনের সময়। তারকা, সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও তাঁর জন্মদিনের আগে উড়ে গিয়েছেন স্বপ্নের নগরী প্যারিসে। পরনে গোলাপি রং, ঠিক যেন ‘এমিলি ইন প্যারিস’-এর মতো ‘মিমি ইন প্যারিস’!
রাজনীতিতে আসার পর নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে যে তাঁকে আরও বেশি সচেতন হতে হয়েছে, তা কোনও ভাবেই লুকোননি মিমি। বলেন, ‘‘আগে যেমন কোনও বিষয় নিয়ে নিজের সম্পূর্ণ মতামত দিতে পারতাম, এখন অনেক কিছু ভেবে বলতে হয়।’
সমাজমাধ্যমে প্রতিটি পোস্টে নিজের প্রস্ফুটিত হওয়ার যাত্রাই তুলে ধরেন ইদানীং। কালো টপ, গোলাপি ট্রাউজ়ার্সের সঙ্গে মানানসই গোলাপি রিং দুলিয়ে নিয়েছেন কানে। খোলা চুল উড়িয়ে অপরাজেয় মিমি ছবি জন্মদিনে একগুচ্ছ পোস্ট করে লিখলেন, “বঁজুর (সুপ্রভাত)”। ওড়ালেন জীবনের জয়ধ্বজা।
জলপাইগুড়ির মফস্সলে বেড়ে উঠেছেন। তবে অভিনয় করবেন, ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল। পড়াশোনায় ফাঁকি দেননি তাই বলে। বাবা-মা তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পড়াশোনায় ভাল না হলে কোনও কিছুই ভাল ভাবে করা যায় না। তাই উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করে তবেই পর্দায় এসেছেন মিমি।
ঋতুপর্ণ ঘোষ সৃজিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গানের ওপারে’ দিয়ে তাঁর আত্মপ্রকাশ। এর পর ২০১২ সালে ‘বাপি বাড়ি যা’ ছবিতে প্রথম বার পর্দায় আসেন। অজস্র ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে এর পর। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘খেলা যখন’ এখনও পর্যন্ত তাঁর শেষ কাজ। এই মুহূর্তে তাঁর মতো সফল নারী বাংলার অজস্র মানুষের অনুপ্রেরণা।
২০১৯ সালে সাংসদ হওয়ার পর প্রথম বার সংসদে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানান মিমি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি প্রথম দিন সংসদে একটা সাদা জামা আর একটা ডেনিম পরে গিয়েছিলাম। তার জন্য আমায় ট্রোল করা হয়েছে। কিন্ত ওই পোশাক একেবারেই ফর্ম্যাল। তবে এখনও আমার এটা ভেবে সত্যিই ভাল লাগে যে, ভাগ্যিস সে দিন সাহস করে ওই পোশাক পরে সংসদে গিয়েছিলাম আমি! কারণ, এখন অনেক মেয়েই সংসদে জামা, স্নিকার, কুর্তি, সালোয়ার কামিজ পরে আসেন। আমি বলতে চাইছি না যে, এই বদলটা আমি এনেছি। কিন্তু আর যা-ই হোক, আমি সে দিন সাহস দেখিয়েছিলাম। আর আজ অন্যরাও ওই সাহসটা দেখাতে পারছেন। এটা ভেবে আনন্দ হয়।’’