সরকারি কর্মকর্তাদের ‘জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস’ বাড়াতে পাঠাগারের জন্য কিনতে যাওয়া ১৪শ’ বইয়ের তালিকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের লেখা ২৯টি বই থাকার অভিযোগে পুরো তালিকা বাতিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কে এম আলী আজম বলেন, তালিকাটি বাতিল করা হয়েছে। এখন নতুন তালিকা করা হবে, নাকি বিষয় উল্লেখ করে দেওয়া হবে, তার জন্য একটি কমিটি করা হবে। এটি সভা করে ঠিক করা হবে। এটি না জানানো পর্যন্ত এ বিষয়ে কার্যক্রম না করার জন্য বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার কে এম আলী আজম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তালিকায় একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই থাকার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা সংশোধন বা বাতিল করা হবে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জন্য এ বইয়ের তালিকা করা হয়েছিল।
গত শনিবার প্রথম আলোয় ‘বই কেনার তালিকায় এক অতিরিক্ত সচিবের ২৯ বই’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এরইমধ্যে বই কিনতে শুরু করেছেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তালিকার মধ্যে একজন অতিরিক্ত সচিবেরই রয়েছে ২৯টি বই। এছাড়া তালিকার ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের মধ্যে শতাধিক বই অন্তত ২৫ জন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার লেখা। তালিকা খতিয়ে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে থাকা ১৬৬টি শিরোনামের মধ্যে অন্তত ৪০টি বই আছে, যা ১৫ জন সরকারি কর্মকর্তার লেখা। এ তালিকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখকের বই স্থান না পাওয়ায় নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রতিবেদনে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘জ্ঞানচর্চা ও পাঠাভ্যাস’ বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি উদ্যোগের প্রসঙ্গ উঠে আসে।
উদ্যোগের আওতায় জেলা-উপজেলায় বই কিনতে ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে পাঠানো হয় ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা। এ তালিকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামের লেখা ২৯টি বই দেখা যায়, যার অধিকাংশই কবিতার বই। তার মধ্যে ২৪টি প্রকাশিত হয়েছে মাত্র একটি প্রকাশনী থেকে।