প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে জনগণের মাথার মুকুটে আরেকটি নতুন অহংকারের পালক সংযোজন করলাম ।
আজ বুধবার মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল ১১টা ৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের নাম ফলক উন্মোচন করেন।
সুধী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে, বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
শেখ হাসিনা বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে। আজকে আরেকটি নতুন অহংকারের পালক জনগণের মাথার মুকুটে সংযোজন করলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অন্তত ৪টি মাইল ফলক বাংলাদেশের জনগণকে স্পর্শ করল—মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইল ফলক; এই প্রথম বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল; মেট্রোরেল দূর নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি পরিচালিত হবে এবং বাংলাদেশ দ্রুত গতিসম্পন্ন ট্রেনের যুগে পদার্পণ করল। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম, ঢাকা যানজটমুক্ত করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেব এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবো। আমরা ৬টি মেট্রোরেল লাইন সমন্বয়ে কর্ম পরিকল্পনা নিয়েছি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আমি আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকিট এবং মেট্রোরেলের প্রথম দিনের কাভার উন্মোচন করবেন। সেই সঙ্গে উন্মোচন করবেন ৫০ টাকার স্মারক নোট। এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে উঠবেন। এ সময় দুই শতাধিক ব্যক্তি যাত্রী হিসেবে তার সঙ্গী হবেন। তাদের মধ্যে থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাককর্মী, রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।