পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিন বলেছেন, জঙ্গীবাদের সাথে দারিদ্রতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। এক সময় এ অঞ্চল পিছিয়ে থাকার কারণে এখানে জঙ্গীবাদের প্রভাব বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে শুধু উত্তরাঞ্চল নয়, সারাদেশেই জঙ্গী সদস্য পাওয়া যাচ্ছে। পরিসংখ্যানগত দিক দেখলে উত্তরাঞ্চলেই বেশি রয়েছে। বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়ার যুগ। ভার্চুয়াল জগতে জঙ্গীরা অনেক একটিভ রয়েছে। তাই আমরা সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সেখানে তাদের মনিটরিং করছি। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে জঙ্গীবাদ দমনে এগিয়ে যেতে চাই।
শনিবার দুপুরে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে ‘উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সাথে জঙ্গীবাদের উত্থানের সম্পর্ক না থাকলেও তারা অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চায়। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মতবিরোধ রয়েছে, এই অস্থিরতাকে তারা সুযোগ নিতেই পারে। জঙ্গীবাদের উত্থান রোধে পুলিশ, র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা অনলাইন পেট্রোলিং, সাইবার পেট্রোলিংসহ নানামুখী কাজ করছে। দেশের মাটিতে জঙ্গীরা তাদের ঘাঁটি গড়তে পারবে না।
অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিন বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট খোলা হচ্ছে। চলতি মাসেই এই ইউনিটের প্রধানসহ কর্মকর্তাদের জঙ্গীবাদ দমন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু করা হবে। এটি তিন থেকে চার মাসব্যাপী হবে। এই প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর পুলিশের প্রশিক্ষিত কর্মকর্তারা তাদের লব্ধ জ্ঞান বিট পুলিশ এবং কমিউনিটিতে ছড়িয়ে দেবে। এতে করে জঙ্গীবাদ দমনে আমরা অনেক এগিয়ে যাব।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট বাসুদেব বণিক, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ অন্যরা।
এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।