The news is by your side.

চৈত্রের তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের চার বিভাগ

0 77

 

গরমের সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় বেড়েছে অস্বস্তি। আবহাওয়া অধিদপ্তর এরই মধ্যে তাপপ্রবাহ নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

অধিদপ্তর বলছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। আর এই চলমান তাপপ্রবাহ আগামী শনিবার  পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে ঘাম ঝরবে বেশি, ফলে অস্বস্তি বাড়বে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায়—৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ছিল ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত। এই সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে, তাই গরমও বেশি অনুভূত হবে। দেশে এখন পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে গরম বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সে কারণে আবহাওয়া আরও অস্বস্তিদায়ক হচ্ছে।

ময়মনসিংহ এবং সিলেটের কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও ঈদের আগে তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণ নেই বলছেন আবহাওয়াবিদেরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘আগামী তিন দিন ঢাকাসহ চার বিভাগের মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলবে। তবে তীব্র বা অতি তীব্র হবে না। এই সময়ে এই চার বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।’ তবে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে, জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তবে বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে এই সময় তাপমাত্রা কমতে পারে ও বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.