বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার চুরি করে দেশকে ফোকলা বানিয়েছে। তারা টাকা চুরি করে বিদেশে পাঠায়, আবার ভোটের সময় ভোট চুরি করে। তাই এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।’
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়বাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের উদ্যোগে এই রোডমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ দাবি করে সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চাল, ডাল, তেল, লবণ—প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলে কথা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এখন চালের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। মা–বোনেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের পাতে ডিম দিতে পারে না। তেলের দাম, বিদ্যুতের দাম তিন থেকে চার দফা বেড়েছে। সরকারের সেদিকে খেয়াল নেই।আবার বলে দাম তো ফিক্সড করে দিয়েছি—দাম ফিক্সড করলেই কি দাম কমানো যায়? চুরি তো করো তোমরা। চুরি করো আর বলো দাম ফিক্সড করেছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পর আমাদেরকে আবার সংগ্রাম করতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে। আমাদের ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য ও বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য লড়তে হচ্ছে।
সরকারের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘এই সরকার শুধু দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ হয়েছে তা নয়, এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। এত বড় চোর যে, চুরি করে দেশকে তারা ফোকলা করে দিয়েছে। চুরি করে আর বিদেশে পাঠায়। বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করে। আর সবচেয়ে বড় চুরি করেছে—আমার ভোটের অধিকার চুরি করে নিয়ে গেছে। ১৪ তে চুরি করেছে, ১৮ তে চুরি করেছে। এখন আবার পাঁয়তারা করছে ২০২৪ এর নির্বাচনে চুরি করে পার হয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।
এ দেশের মানুষ এবার চুরি করতে দেবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ইতোপূর্বে বলেছি, আমাদের কথা অনেকে বিশ্বাস করতে চায়নি। এখন সারা পৃথিবীর মানুষ বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশে দুটি নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনে যদি জনগণ ঠিকঠাক মতো ভোট দিতে না পারে তাহলে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে না আসতে পারে সে জন্য আগেই মিথ্যা মামলা-গ্রেফতার; আগের মতো শুরু করে দিয়েছে। ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা।