The news is by your side.

চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চীন যাচ্ছেন পুতিন

0 117

চীনের সঙ্গে সীমাহীন বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এই সপ্তাহে বেইজিং সফর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী ১৭-১৮ অক্টোবর দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে অংশ নিতেই পুতিনের এই সফর। খবর রয়টার্সের।

নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইউক্রেন থেকে শিশুদের নির্বাসনের বিষয়ে মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করারপের এটিই হতে যাচ্ছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বাইরে তার প্রথম সফর।

চীন ও রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘সীমাহীন’ অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছিল। ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন চালানোর কয়েকদিন পূর্বেই বেইজিং সফর করেছিলেন পুতিন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এবং রাশিয়াকে তার সবচেয়ে বড় জাতি-রাষ্ট্রের হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুক্তি অনুযায়ী, এই শতাব্দীকে গণতন্ত্র এবং স্বৈরাচারের মধ্যে একটি অস্তিত্বের প্রতিযোগিতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হবে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বিল ক্লিনটনের অধীনে সাবেক সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব গ্রাহাম অ্যালিসন রয়টার্সকে বলেছেন, ‘গত এক দশকে পুতিনের রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে পরিণতিমূলক অঘোষিত জোট তৈরি করেছেন চীনের শি। বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু শক্তিসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার বিরুদ্ধে এই দুই কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী যেন শক্তিশালী বিরোধী হয়ে দাঁড়াতে না পারে।’

বাইডেন শিকে ‘স্বৈরশাসক’ ও পুতিনকে ‘খুনি’হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। বেইজিং এবং মস্কো এই মন্তব্যের জন্য বাইডেনের সমালোচনা করেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে পুতিন বেশিরভাগই নাবেকন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যেই থেকেছেন, যদিও তিনি গত বছর সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে আলোচনার জন্য ইরান সফর করেছিলেন।

একসময় বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্ট শ্রেণিবিন্যাসের সিনিয়র অংশীদার ছিল রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। যার পতন ঘটে ১৯৯১ সালে। পতনের তিন দশক বাদে রাশিয়াকে এখন মাও সেতুং-এর পর দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা শির অধীনে পুনরুত্থিত কমিউনিস্ট চীনের জুনিয়র অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.