চট্টগ্রাম অফিস
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনে জামিন নামঞ্জুর করেন।
প্রায় আধ ঘণ্টার শুনানির পরে সরকারি আইনজীবী মফিজুর হক ভুঁইয়ার আবেদন মেনে দায়রা বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম ধৃত সন্ন্যাসীর জামিনের আবেদন খারিজ করেন। বিচারক জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তাই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণকে গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করেছিল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। সেখানে আইনজীবী আলিফকে হত্যার অভিযোগ হিন্দু বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।
১১ জন হিন্দু বিক্ষোভকারীকে সরাসরি খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম পুলিশ। আদালতে ভাঙচুর, অশান্তির মামলায় গ্রেফতার করা হয় আরও ৪০ জনকে। গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে শুনানি থাকলেও জামাত-সহ কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলির হুমকির জেরে চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে কোনও আইনজীবী এজলাসে হাজির হতে পারেননি বলে অভিযোগ।
১২ ডিসেম্বরও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছিল। এ বার শুনানির আগেও মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলির তরফে আইনজীবীদের উপর ভীতিপ্রদর্শন চিন্ময়কৃষ্ণের প্রথম আইনজীবী আইনজীবী শুভাশিস শর্মা গ্রেফতারি এড়াতে আত্মগোপন করেছেন আগেই। দ্বিতীয় আইনজীবী রবীন্দ্র দাস বুকে ব্যথা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে জামিনের সওয়াল করতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংগঠন ‘সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট’-এর অন্যতম নেতা অপূর্ব। চিন্ময়কৃষ্ণ ওই সংগঠনেরই মুখপাত্র। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে জামাতপন্থী আইনজীবীরা চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন না-দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন।