বৈশ্বিক মন্দার কারণে চাপে থাকলেও দেশের অর্থনীতি গতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, আমরা এখন মোটামুটিভাবে এমন জায়গা আছি, যেখানে অর্থনৈতিক চাপটা আছে। ডলারের ক্রাইসিস এটা তো সারা বিশ্বব্যাপী, আমাদের ওপরও আছে। তারপরও আমি বলবো আমাদের অর্থনীতি গতিশীল আছে। এবারও আমরা ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। আমাদের চালের অভাব নেই। আমাদের চাল ও অন্যান্য ফসল প্রচুর পরিমাণে আছে। আজ আমাকে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের তো চাল রাখার জায়গা নেই। এখন জায়গা খালি করি কীভাবে।
তিনি বলেন, যাদের আমরা রেশন দিই— যেমন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আছে, পুলিশ বাহিনী আছে, যাদের যাদের রাখার ব্যবস্থা আছে, তাদের আমরা একবারে তিন মাসেরটা দিয়ে দেব। ভিজিডি, ভিজিএফ মাসে মাসে দিই, সেটাও দরকার হয় তিন মাসেরটা দিয়ে সেখানে আমরা জায়গা করব এবং সেখানে নতুন করে আবার খাদ্য মজুত করব, যাতে ভবিষ্যতে কোনো দুর্যোগে সমস্যা না হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রামে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে। হয়তো ঢাকা শহর সবাই দেখেন, গ্রামের দিকে দেখেন না। গ্রামে কিন্তু কোনো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নেই। আজও আমি খবর নিলাম, বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা এসেছিলেন। জিজ্ঞেস করলাম, কী অবস্থা? বলে, এখানে দাম বেশি, আমাদের ওখানে সব ঠিক আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ মানুষ অন্তত খেয়ে-পরে ভালো আছে। এখন বর্ষাকালেও শীতকালের সবজি দেখেন। সবই পাওয়া যায়। আবার সেটা দাম বেশি হলে সবাই চিৎকার-চেঁচামেচিও করে। কিন্তু আগে তো এগুলো পাওয়াই যেত না। এখন সবই পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি সেটাও কার্যকর করতে হবে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের আসবে। সে প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, দেশে ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। আমরা সমাজের সবদিকে লক্ষ্য রেখে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।