সরকারি চাকরিতে অষ্টম থেকে তার উপরে অর্থাৎ প্রথম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) স্পষ্টীকরণ চাইলে ১ম–৮ম গ্রেডের নিয়োগে কোটা নিয়ে এই মতামত দেওয়া হয়।
এই অনুমোদনের ফলে সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণিতে সরাসরি নিয়োগে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের মতো প্রথম থেকে অষ্টম গ্রেডের চাকরির নিয়োগেও কোনো কোটা থাকবে না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। এতে বলা হয়েছিল– ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, নবম থেকে যত উপরের গ্রেডেই যাক, সরাসরি নিয়োগে কোনো কোটা পদ্ধতি থাকবে না।”
চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
কোটা বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়, “৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম–১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
“৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম–১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হল।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পিএসসি গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে নাকি আগের কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে, তা স্পষ্ট করার অনুরোধ জানিয়েছিল।