The news is by your side.

চলতি সপ্তাহেই ফের ইউক্রেন পেতে পারে মার্কিন অস্ত্র

0 86

বেশ কয়েক মাস ধরে টালবাহানার পর শনিবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ইউক্রেনের জন্য প্রায় ৬০০ কোটি ডলার অঙ্কের সামরিক সাহায্যের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। পরিবর্তিত সেই প্রস্তাবের প্রতি উচ্চকক্ষ সিনেটের দ্রুত সমর্থনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বাক্ষর সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি চলতি সপ্তাহের শেষেই আবার ইউক্রেনে মার্কিন অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হবে বলে শোনা যাচ্ছে।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি রবিবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি দ্রুত সেই প্রস্তাবকে আইনে পরিণত করে অস্ত্র হস্তান্তর শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ইউক্রেন দূর পাল্লার অস্ত্র ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি নেটওয়ার্ককে জেলেনস্কি বলেন, এই প্রস্তাবের অনুমোদন রাশিয়ার কাছে স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়ে দিচ্ছে—ওয়াশিংটন তাঁর দেশের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর মতে, ইউক্রেন দ্বিতীয় আফগানিস্তান হবে না।

তিনি যুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনার উল্লেখও করেন।

ইউক্রেনকে শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহের প্রশ্নে বাইডেন প্রশাসন জেলেনস্কির কাছ থেকে কিছু অঙ্গীকার চাইছে। যেমন গত বছরের অক্টোবর মাসে এটিএসিএমএস নামের দূরপাল্লার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রের একটি সংস্করণ হস্তান্তরের সময় রাশিয়ার ভূখণ্ডে সেটি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। ইউক্রেনও সেই অঙ্গীকার করে আসছে।

রুশ অধিকৃত ভূখণ্ডে এমন অস্ত্রের প্রয়োগ যথেষ্ট সাফল্য বয়ে এনেছে। আসন্ন হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও সেই রীতি বজায় থাকবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। সিনেটের ইনটেলিজেন্স কমিটির সভাপতি মার্ক ওয়ার্নার বলেছেন, ইউক্রেন এবার দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র পেতে পারে।

এ দিকে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গও ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সামরিক সহায়তার পথে বাধা দূর হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের এমএসএনবিসি নেটওয়ার্ককে তিনি বলেন, চার মাস ধরে ইউক্রেনীয়রা অস্ত্রের অভাব বোধ করেছে।

রাশিয়ার হাতে অনেক বেশি গোলাবারুদ থাকায় ইউক্রেনকে নিজস্ব গোলাবারুদ রেশন করতে হয়েছে। তবে তাঁর মতে, এখনো বেশি দেরি হয়নি। স্টলটেনবার্গ কিয়েভে বিভিন্ন ন্যাটো দেশের দূতাবাসে সামরিক উপদেষ্টার উপস্থিতির কথা স্বীকার করলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ন্যাটো মোটেই সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে না।

এ ছাড়া সোমবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো মজবুত করতে সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করছেন। জার্মানি আরো একটি প্যাট্রিয়ট প্রণালি সরবরাহের সিদ্ধান্তের পর অন্যান্য দেশের ওপরেও চাপ বাড়ছে। ন্যাটোর মহাসচিবও ইউরোপের সদস্য দেশগুলোকে এ ক্ষেত্রে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের আরজি জানিয়েছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.