অক্টোবরের শেষ দিকে ভারত ফের বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি শুরু করবে বলে আভাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে ভারত থেকে হয়তো পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। তখন এর দাম কমে যাবে।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে শিগগির পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। এছাড়া কোনো ব্যবসায়ী অসৎ উপায়ে পেঁয়াজ মজুদ করলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘পেঁয়াজ ইস্যুতে এখন শক্ত অবস্থানে যাওয়ার সময় এসেছে। কারণ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর দাম বাড়ার কথা নয়। তাদের ঘোষণার পাঁচ/ছয় দিন পর বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা এবং দাম বাড়ার কথা। কিন্তু দেখা গেছে ভারতের রফতানি বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।’
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কারসাজি রয়েছে বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়া বিষয়টিকে পুঁজি করেছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমদানি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে যা স্টক ছিল সেটা কাজে লাগালে পেঁয়াজের দাম এত বাড়তো না।’
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারাদেশের পেঁয়াজের বাজার এবং স্টক কতটুকু কোথায় কিভাবে আছে সেটা দেখার জন্য দশটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতি জানতে কমিটিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা।
পেঁয়াজ নিয়ে এরই মধ্যে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীজানিয়েছেন এ মাসের শেষের দিকে তিনি আশা করছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব, চেষ্টা করব এ মাসের শেষ নাগাদ রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে। আসছে ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে একটা নির্বাচন রয়েছে। তারপর আশা করছে একটা মুভমেন্ট হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে দুইদিন তাদের ধর্মীয় একটি বড় উৎসব যাওয়ায় পেঁয়াজের সাপ্লাই বন্ধ ছিল। আর ভারত থেকে তো বন্ধই। আমি দেশে ছিলাম না। আজ সকালে দেশে ফিরেছি। তবে সচিব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করা হচ্ছে। সমস্যাটা সাময়িক। আমাদের নিজেদের যে সোর্স ছিল, সেটা বন্ধ হওয়ার কারণে অনেক চাপ পড়ে গেছে। যাদের ওপর নির্ভর করতে হয়, সেখান থেকে বন্ধ হলে সমস্যায় তো পড়তে হয়।
তিনি বলেন, এখন মিয়ানমারের ঝামেলা মিটে গেছে। এখন সাপ্লাই শুরু হয়ে যাবে। অন্য জায়গা থেকেও আমদানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সমস্যা বেশি দিন থাকবে না। এ মাসের শেষের দিকে ভারত হয়তো তাদের পেঁয়াজ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে। তবে তা না হলে নভেম্বরে নিজেদের নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত সমস্যাটা থাকবে। এজন্য বিভিন্ন বাজার থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সমস্যাটা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।