অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে শনিবার সকালে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এটি সকাল ১০টায় ঢাকা ফরিদপুর অঞ্চলে অবস্থান করছিল। পরে দুপুরে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর ফণী ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের দিকে চলে যাবে। শনিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৪৫) এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে শনিবার ১২টায় পাবনা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং এর পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং দেশের অনেকস্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে দেশের বিভিন্নস্থানে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিঃ মিঃ বেগে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিঃ মিঃ বেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অমাবস্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আর্ধিক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।