আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘গ্লোবাল কোয়ালিশন ফর সোশ্যাল জাস্টিস’-এ যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জোটের প্রথম ফোরামে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে যোগদানের সরকারি সিদ্ধান্ত কোয়ালিশন সচিবালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব জোরদার করার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সামাজিক ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার ঘাটতি পূরণ করে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০’ অর্জনে অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এই জোট প্রতিষ্ঠিত হয়। জোটটিতে এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকোসহ ৭২টি দেশ যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ ৭৩তম দেশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হলো। সরকার ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শ্রমিক সংগঠন, মালিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা, গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এর অংশীদার।
২০২৩ সালের জুনে আইএলও’র মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা জেনেভায় ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট- সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে জোটের রূপরেখা নিয়ে বিশ্ব নেতারা নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোয়ালিশন গঠনের ক্ষেত্রে তার পাঁচ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দফা সুপারিশ ও অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে কোয়ালিশনের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয়টি অগ্রাধিকার চিহ্নিত করা হয় উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, এর মধ্যে অসমতা ও বৈষম্য মোকাবিলা, শ্রমিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা, টেকসই ব্যবসা ও শোভন কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্য। এ বিষয়গুলোতে আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার ও বেসরকারি অংশীদারদের কার্যকর সমন্বয় ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে নীতিগত সামঞ্জস্য আনয়নের লক্ষ্যে এ কোয়ালিশন কাজ করবে।
ন্যায্যতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে এই জোটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।