The news is by your side.

গ্রেপ্তারের পরদিন জামিন পেলেন ট্রান্সকমের পাঁচ কর্মকর্তা

0 159

রাজধানীর গুলশান থানার ৩ মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এর আগে আসামি পক্ষের আইনজীবী পাঁচজনের জামিন আবেদন করেন। বিপরীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) একজনের পাঁচদিন ও বাকি চারজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে আদালত শুনানি শেষে পাঁচজনেরই জামিন মঞ্জুর করেন।    
 
জানা যায়, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মৃত্যুর পর প্রতিষ্ঠানের শেয়ার জালিয়াতির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকে তার রেখে যাওয়া স্থায়ী আমানতের অর্থ আত্মসাৎ এবং জাল দলির সৃজন করার অভিযোগ তোলেন মেজ মেয়ে শাযরেহ হক। এ ঘটনায় তিনি ট্রান্সকমের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান, সিইও সিমিন হোসেনসহ প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করেন।
 
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানায় মামলা তিনটি নথিভুক্ত হয়। এতে ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি হস্তান্তর দলিল সৃজন করে ট্রান্সকমের শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হয়। এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির দুই পরিচালকসহ পাঁচজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তারা হলেন- প্রতিষ্ঠানের আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ম্যানেজার আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক এবং সহ কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক।
 
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে শাযরেহ হক মামলায় এক নম্বর আসামি করেছেন ট্রান্সকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমানকে। দুই নম্বর আসামি করেছেন লতিফুর রহমানের বড় মেয়ে এবং ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমানকে। পরিবারের এই দুই সদস্যের বাইরে ট্রান্সকমের করপোরেট অ্যাফেয়ারস (আইন) বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো ফখরুজ্জামান ভুঁইয়া, পরিচালক (কোম্পানির সাবেক সেক্রেটারি) মো. কামরুল হাসান এবং পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন।
 
শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে লতিফুর রহমানের বড় মেয়ে সিমিন রহমানকে। এরপর যথাক্রমে ট্রান্সকমের করপোরেট অ্যাফেয়ারস (আইন) বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো ফখরুজ্জামান ভুঁইয়া, অ্যাসিসট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক এবং কোম্পানি সেক্রেটারি অফিসের ম্যানেজার আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক। আর জাল ডিড অব সেটেলম্যান্ট তৈরির অভিযোগে করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সিইও সিমিন রহমানকে। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে ট্রান্সকমের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমানকে। এছাড়া এই মামলায় মো ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, মো. কামরুল হাসান এবং সিমিন রহমানের সন্তান যারাইফ আয়াত হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।
 
লতিফুর রহমানের মেজ মেয়ে অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের ১ জুলাই কুমিল্লায় মারা যান তার বাবা। জীবিত থাকা অবস্থায় প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ঢাকা, এইচএসবিসি ঢাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংকে প্রায় একশ কোটি টাকা রেখে মারা যান লতিফুর রহমান। শাযরেহসহ অন্য ওয়ারিশরা তাদের বাবার রেখে যাওয়া একশ কোটি টাকার মুসলিম শরিয়া আইন অনুযায়ী হকদার। কিন্তু লতিফুর রহমানের স্ত্রী এবং বড় মেয়ে নিজেদের মধ্যে আত্মসাৎ করা অর্থ ভাগাভাগি করে নেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.